খুলনা: তীব্র তাপদাহের সঙ্গে বইছে গরম বাতাস। প্রচণ্ড গরম সঙ্গে কাঠফাঁটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল দশটায় খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর শাখার এ নামাজের আয়োজন করে। নামাজে ইমামতি করেন খুলনার গোয়ালখালি ক্যাডেট স্কীম মাদ্রাসার মুহতামিম অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল। এতে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নামাজ পড়তে আসেন মুসল্লিরা।
দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদের খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি হযরত মাওলানা মুফতি গোলাম রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুফতি আমানুল্লাহ, শেখ মো. নাসির উদ্দিন, মুফতি ইমরান হোসেন।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝরে চোখের জল ছেড়ে দিয়ে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে চলমান বৈশ্বিক সংকট থেকে মুক্তির জন্যও দোয়া করা হয়।
নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট, কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফলস উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এই অবস্থায় বৃষ্টি হওয়াটা খুব দরকার। বৃষ্টি হলে গরম কমবে। আল্লাহ তা’আলা সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি বা পানি চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সবাই একত্রে নামাজ আদায় করেছি।
নামাজে অংশ নেওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন দেশে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গরমে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মাঠের ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ আদায় ও মোনাজাত করা ছাড়া মুমিনদের কোনো উপায় নেই। ধর্মমতে একে ‘সালাতুল ইসতিসকার’ বলা হয়। খুলনাবাসী আজকেই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
এমআরএম/এমএমজেড