ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে ঘরে ফেরা মানুষের প্রথমদিনের ঘরমুখী যাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক। আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত দূরপাল্লার মহাসড়কগুলোতে যানজট হয়নি।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এ কথা বলেন।
এছাড়া স্বস্তিদায়ক ও নিরাপদ ঈদযাত্রায় পুলিশ, বিআরটিএ ও বাংলাদেশ রেলওয়েসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপগুলো এখনো পর্যন্ত সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কমিটির নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার ঈদের ছুটিতে সব মহাসড়ক উন্মুক্ত করে দেওয়ায় প্রথমদিন দূরপাল্লাগামী বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল শিমুলিয়া, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট হয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর টাঙ্গাইল অংশে দুই চাকার এ বাহনের দীর্ঘলাইন পড়ে যায়। এতে সেতুর টোল আদায়ে বিলম্ব ঘটে। বিবৃতিতে অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এড়াতে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর কঠোর নজরদারির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাতীয় কমিটি জানায়, মানুষ মূলত ঈদপূর্ব শেষ কর্মদিবস মঙ্গলবার বিকেল থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। তবে সরকারি ছুটির প্রথম দিন বুধবার ভোর থেকে ঘরমুখী জনস্রোত বেড়েছে। এদিন সদরঘাট টার্মিনাল থেকে যাত্রীভর্তি অর্ধশতাধিক লঞ্চ উপকূলীয় জেলাগুলোর উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রেনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে সোমবার। তৃতীয় দিন বুধবার দুপুর পর্যন্ত কমলাপুর ছেড়ে গেছে ২৬টি ট্রেন। এর মধ্যে নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও বাকিগুলো নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে গেছে। এছাড়া এদিন কমলাপুর, বিমানবন্দর ও গাজীপুর স্টেশন থেকে ট্রেনের ছাদে কাউকে উঠতে দেয়া হয়নি।
প্রথমদিন সড়কপথ স্বাভাবিক ছিল উল্লেখ করে বিবৃতিদাতারা বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালে জনসমাগম তুলনামূলক কম থাকলেও সায়েদাবাদ, মহাখালী, গুলিস্তান ও টিটি পাড়া (কমলাপুর) থেকে যাত্রীবোঝাই দূরপাল্লাগামী শত শত বাস ছেড়ে গেছে। তবে এ সব বাস ফেরিঘাট কিংবা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে পড়েনি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও করেননি যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
টিএ/এএটি