ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাপ বাড়লেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নেই জট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
চাপ বাড়লেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নেই জট

টাঙ্গাইল: ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

স্বাবাভিক সময়ের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই সে চিরচেনা যানজট। ফলে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ।  

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের করটিয়া,তারটিয়া, আশেকপুর, রাবনা, রসুলপুর, এলেঙ্গা, হাতিয়া, সল্লা, জোকারচরসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।

বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল প্লাজা সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৬৯টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা। এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী পরিবহন সেতু পার হয়েছে ২০ হাজার ৮২০টি।  

এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ১০ হাজার ১০০ টাকা। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহন সেতু পার হয়েছে ১৫ হাজার ২৪৯টি। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৩১ লাখ ৮৫ হাজার ৩০০টাকা।

রসুলপুর গ্যাস পাম্পে কথা হয় মাইক্রোবাসের আরোহী বগুড়াগামী সোলায়মান হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ভোগান্তির আরেক নাম। কিন্তু এ বছর ভোগান্তি ছাড়াই মহাখালী থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত এসেছি। এতে আমার সর্বোচ্চ আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে। আশা সামনের পথেও কোনো যানজট হবে না। স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবো।

অপর আরোহী সিরাজগঞ্জগামী রেজাউল করিম বলেন, গত কোরবানি ঈদে গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত বাসে এসেছিলাম। একঘণ্টা রাবনা বাইপাস এলাকায় বসে থেকে মোটরসাইকেল যোগে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা পর্যন্ত পৌঁছেছি। পুরো সড়কে হাজার হাজার গাড়ি ছিল। যানজটে আমাদের ভোগান্তির কোনো সীমা ছিল না। আল্লাহর রহমতে এ বছর যানজট ছাড়া শান্তিতে বাড়ি যাচ্ছি।

যানবাহনের কয়েকজন চালক জানান, ঈদ আসলেই যেন ঘরমুখো মানুষদের মনে করিয়ে দিত রাতে যানজটে আটকে থাকা ভোগান্তির কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই চিরচেনা চিত্রের পুরোটাই ছিল ভিন্ন। নেই কোনো যানজট, নেই ভোগান্তি। নির্বিঘ্নে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।

পুলিশ জানায়, এবার ঈদে এখন পযন্ত ঘরমুখো মানুষের তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। এর কারণ হচ্ছে যানজট নিরসনে ঢাকামুখী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্বর থেকে ভূঞাপুর হয়ে মহাসড়কের এলেঙ্গায় গিয়ে মিলিত হচ্ছে। আর এলেঙ্গা থেকে উত্তরবঙ্গমুখী যানবাহনগুলো দুই লেনের সড়ক হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছে। এতে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চার লেনের সুবিধা পাচ্ছে। ফলে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে অন্যান্য বছরের তুলনায় এখনও তেমন কোনো জট চোখে পড়েনি। এখন পযন্ত স্বাভাবিক গতিতেই চলছে গাড়ি।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়কে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ যানবাহন চলাচল বাড়লেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কটিতে যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় সেদিকে সার্বক্ষণিক তারা নজর রাখছেন। মহাসড়কে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহন চলতে না পারে সে দিকে কঠোর নজরদারি রয়েছে। এছাড়া কোনো যানবাহন বিকল হলে সেটি দ্রুত অপসারণ করছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।