ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাপ-অকল্যাণ থেকে মুক্তি চেয়ে প্রার্থনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
পাপ-অকল্যাণ থেকে মুক্তি চেয়ে প্রার্থনা

রাজশাহী: যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইহকাল ও পরকালের মুক্তি কামনায় শুক্রবার (২১ এপ্রিল) রাজশাহীতে পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত হয়েছে। এদিন কাতারবদ্ধ হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রমজানের শেষ জুমায় শামিল হন।

দুপুরে আজানের পর রাজশাহী কেন্দ্রীয় শাহ্ মখদুম (রহ.) দরগা মসজিদ, সাহেব বাজার বড় মসজিদ ও হেতম খাঁ মসজিদসহ সব মসজিদে নামাজে আজ বাড়তি ভিড় লক্ষ্য করা যায়। জুমাতুল বিদাকে কেন্দ্র করে আজ নামাজ শুরুর আগেই সব মসজিদ কানায় কানায় ভরে যায়। মসজিদ ছাড়িয়ে সড়কেও চলে যায় মুসল্লিদের কাতার।  

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তীব্র রোদ-গরম উপেক্ষা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় জুমার দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। এর আগে মসজিদের মিম্বর থেকে জুমাতুল বিদার খুতবায় উচ্চারিত হয়- বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান।

জুমার দুই রাকাত নামাজ শেষে রাজশাহীসহ গোটা দেশ ও জাতির সুখ, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। একইসঙ্গে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।

দোয়া করা হয়, বছরের বাকি দিনগুলোতে যেন পাপ ও অকল্যাণ থেকে মুক্ত থাকা যায়। বিশেষ করে সব দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশ ও গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে রক্ষার জন্য পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে সবাই দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে নাজাত ও রহমত ভিক্ষা চান।

নামাজ আদায়ের পর নগরের গৌরহাঙ্গা, টিকাপাড়া, কাদিরগঞ্জ, হেতমখাঁসহ বিভিন্ন কবরস্থানে বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করতে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।

রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের শেষ জুম্মা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। একইসঙ্গে এ দিনকে আল কুদস দিবস হিসেবেও অভিহিত করা হয়।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩

এসএস/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।