ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদের দিনও বাড়ির পানে নাড়ির টানে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
ঈদের দিনও বাড়ির পানে নাড়ির টানে

ঢাকা: আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) পবিত্র ঈদের দিন। ঈদুল ফিতরের আগে চাঁদ রাত পর্যন্ত রাজধানী থেকে সাধারণ মানুষ নাড়ির টানে গেছেন।

ভালোবাসার টান তাদের মা-বাবার বুকে নিয়ে যাচ্ছে ঈদের দিনও।

মূলত, এ দিনটি তারা বেছে নিয়েছেন মহাসড়কের দীর্ঘ যানজট ও উটকো ঝামেলা এড়াতে। সকালে রাজধানীর গাবতলি বাস টার্মিনালে গিয়ে অপেক্ষয়মান বহু যাত্রীর দেখা মিলেছে। বাংলানিউজে তারা জানালেন, নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে আমরা ঈদের দিনটিই বেছে নিয়েছি। আজ বাড়ি ফিরে সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবো।

পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীরা বলছেন, ২০২৩ সালের রোজার ঈদের মানুষের বাড়ি ফেরা গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট-বড় ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে যাত্রীরা গাবতলির বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছেন। গরম অনুভব করলেও যাত্রা স্বস্তির হবে বলে তারা আশা করেন। তা ছাড়া ঈদের দিন যানজট কমে হবে, নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলেও তাদের আশা।

ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাচ্ছেন মিরপুরের কাপড় ব্যবসায়ী ওসমান আলী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রতিবছরই ঈদের দিন বাড়ি যাই। ঈদের সকাল পর্যন্ত বেচাকেনা থাকে। সকালে এ কাজ শেষে ঈদের সালাত আদায়ের পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি। এর আগেই অবশ্য পরিবারের সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি।

ঈদের আগে সড়কে এতটা স্বস্তি থাকবে কখনো চিন্তা করেননি মাগুরার বাসিন্দা। আজ সকালে যাওয়ার আগেও ভাবেননি গতকাল যানজট থাকবে না। এমন মনে করলে বৃহস্পতিবারই তিনি বাড়ি ফিরতেন বলে জানান।

জননী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. আব্দুল করিম বলেন, ঈদের দিন অনেকেই বাড়ি ফেরেন। তাই আমাদের সার্ভিস চালু থাকে। গত কয়েকদিন খুব চাপ ছিল। বৃহস্পতিবারও আমাদের টিকিট ছিল। আজ সারাদিন আমাদের গাড়ি চলবে। সকালে যাত্রী কিছুটা কম, বিকেলে বাড়বে।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের দিন প্রতিটি বাস সার্ভিস চালু রাখা কঠিন। তারপরও কিছু কিছু পরিবহন কোম্পানি যাত্রী ও সাধারণ মানুষের সুবিধায় সার্ভিস চালু রাখে। সবারই ঈদ আছে, সবাই বাবা-মা; পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে চায়। আমাদের লক্ষ্য থাকে তাদের ইচ্ছা পূরণ করা।

বাস ছাড়াও মোটরসাইকেলে রাজধানী ছেড়েছেন বহু মানুষ। ঈদের দিনও এ যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। নাঈম নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী জানান, বাসে বাড়ি যেতে টিকিট-খাবারসহ যা খরচ হয়, তা মোটরসাইকেলের পিছে খরচ করলে যাতায়াত দুটোই করা যায়। যাতায়াতও সহজ। ঈদের আগের দুদিন সড়কে চাপ ছিল। যে কারণ আজ বাড়ি ফিরছেন।

নাঈমের মতো আরও বহু মানুষ মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের দিনও সদস্যরা সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি রেখেছে। যেকোনো সমস্যা সমাধানে পুলিশ সবার আগে ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
এসএমএকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।