লক্ষ্মীপুর: দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে মাংসের দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এতে ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদের শুরু আর শেষে সরবরাহের দোহাই দিয়ে মাংসের দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা। অনেক সময় এ ব্যাপারে কাজ করে সিন্ডিকেট। লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে তারা নিরুপায় হয়ে পড়ছেন। এমন অব্যবস্থাপনায় তারা বাজার মনিটরিংয়ের অভাবকে দুষছেন।
এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তাদেরকে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি দামেও বিক্রি করতে হচ্ছে।
রোববার ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন। আজ সকালেও লক্ষ্মীপুর পৌর মাংসের বাজারে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতার ভিড় থাকলেও তারা পণ্য কেনাকাটা করতে পারছেন না ‘বাজেট ফেল’ হওয়ায়। মাংসের দোকানগুলোয় ক্রেতারা আসছেন ঠিকই। দাম শুনে নির্ধারিত পরিমাণে কেউ কিনতে পারছেন না।
পৌর মাংসের বাজারে আসা ক্রেতা আবদুর রব বলেন, ঈদের এক সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। ঈদের দুদিন আগে ছিল ২৫০ টাকা, ঈদের আগের দিন ছিল ২৭০ টাকা। আজ ২৮০ টাকা। অন্যান্য মুরগির দামও বাড়তি।
তিনি আরও বলেন, ঈদের এক সপ্তাহ আগে গরুর মাংসের দাম ছিল ৮৫০ টাকা। চাঁদ রাতে মাংস বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকা কেজি। আজ দাম এক হাজার। বিক্রেতারা মগের মুল্লুক পেয়েছে। এভাবে দিন দিন দাম বাড়লে তো আমরা আর খেতে পারব না। পারিবারিক প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামে মাংস কিনতে হচ্ছে। দাম বাড়ায় চাহিদার চেয়েও কম পরিমাণে মাংস নিয়েছি।
পৌর মাংসের বাজারে মুরগি ব্যবসায়ী তারেক বলেন, ঈদের কারণে চাহিদা বাড়ে। বিশেষ করে ঈদের পরে মাংসের চাহিদা প্রচুর থাকে। তাই আমাদের বাড়তি দামে কিনে আনতে হয়। আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করি। একই বাজারের এক গরুর মাংস বিক্রেতা বলেন, চাহিদার তুলনায় মাংস কম। তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
বাজারে যে শুধু মাংসের দামই বেশি তা নয়। দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। আজ পৌর শহরের সবজির হাটবার ছিল। কিন্তু বাজারে সব ধরনের সবজি নেই। বিক্রেতারা অতিরিক্ত দামে সবজি বিক্রি করছেন। দেখা গেছে প্রতি কেজি শসা ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, তরি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তরকারি বাজারের সবজি বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কারণে বাজারে সবজির উপস্থিতি কম। আমদানি করা হচ্ছে না, তাই দাম বেশি। আমদানি স্বাভাবিক হলে দামও কিছুটা কমে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। বাজার কর্তৃপক্ষরাও ঈদ পালন করায় কথা বলতে রাজি হননি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা ছুটিতে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
এমজে