ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বগুড়ায় বৈশাখী মেলায় মোরগ লড়াই

কাওছার উল্লাহ আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
বগুড়ায় বৈশাখী মেলায় মোরগ লড়াই মেলায় চলছে মোরগ লড়াই। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: গ্রাম বাংলার নানা খেলাধুলা যুগ যুগ ধরে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে চলছে। কিন্তু মোরগ লড়াই, লাঠিখেলা, গোল্লাছুট, দাঁড়িয়াবান্ধা, ডাংগুলি, কানামাছি, বৌছি, পাতা আনা, দড়ির লাফ, ওপেন্টি বায়োস্কোপ, ইচিং বিচিংসহ এসব খেলা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তন প্রাঙ্গনে বগুড়া থিয়েটারের বৈশাখী মেলায় বিলুপ্তপ্রায় মোরগ লড়াই খেলার আয়োজন করা হয়। সময়ের সাথে সাথে একে একে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এ ঐতিহ্যগুলো। আজকের প্রবীণেরা শৈশবে এসব খেলাধুলায় সময় কাটিয়েছেন। তারাও এখন এসব খেলার নাম তুলতে বসেছেন। আর নতুন প্রজন্মের কাছে তো খেলাগুলো সম্পূর্ণ অপরিচিত। নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামীণ খেলাধুলাকে নতুন করে পরিচিত করাতে লাঠিখেলা, মোরগ লড়াই, পাতা আনা, সাপ-বেজির খেলা ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে।

বগুড়া থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না বাংলানিউজকে জানান, বগুড়া থিয়েটারের আয়োজনে বৈশাখী মেলায় নতুন প্রজন্মের সামনে বিলুপ্তপ্রায় খেলাগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। নিজেদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি উদ্ধার ও লালনে যেন মনোযোগী হয়ে ওঠে নতুন প্রজন্ম। কেননা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহনকারী এসব খেলাধুলা হারিয়ে ফেলতে বসেছি আমরা। মূলত এমন ভাবনা থেকেই গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

মেলায় আসা জহুরুল ইসলাম, শাদেহ শেখ, তোজাম্মেল হোসেনসহ একাদিক ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, মোরগ লড়াই, লাঠিখেলা, গোল্লাছুট, দাঁড়িয়াবান্ধা, ডাংগুলি, কানামাছি, বৌছি, পাতা আনা, দড়ির লাফ, ওপেন্টি বায়োস্কোপ খেলাগুলো গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল ৷ এসবের মধ্যে কিছু খেলার দেখতে মানুষের ঢল নামতো। গ্রামজুড়ে চলতো আনন্দ-উল্লাস। কিন্তু আগের সে অবস্থা নেই। এসব খেলা এখন সেকেলে হয়ে গেছে। বগুড়া থিয়েটারের এমন আয়োজনের মাধ্যমে হয়তো একদিন গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো আবারো স্বমহিমায় ফিরে আসবে।

প্রবীণ ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনই সরকারের ভালো কোনো উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগও বড় প্রয়োজন। তাতে নতুন প্রজন্ম এসব খেলাধুলা সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশাপাশি বাঙালি জাতি ফিরে পাবে তার নিজস্ব সংস্কৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।