সাতক্ষীরা: ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার হেমনগর কোস্টাল পুলিশের হেফাজতে থাকা ৯ বাংলাদেশি নাবিক দেশে ফিরেছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যস্থতায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন কাচিকাঠি খাল দিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
প্রত্যাবাসনকৃত নাবিকরা হলেন- চট্টগ্রামের মীরসরাই থানার বাঁশখালী গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে মোহাম্মদ আবুল কাশেম, মোক্তার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন অপু, মোহাম্মদ শামশেদ আলমের ছেলে আজমির হোসেন মুন্না, লুদ্ধাখালী গ্রামের মো. সাইফুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ, মধিয়াম শালারাত গ্রামের মো. মফিজ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, সীতাকুণ্ড থানার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মো. ওয়াসিমের ছেলে মোহাম্মদ তাবাসসুম ইউসুফ, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার মালোয়ারা গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে জাকির হোসেন হাওলাদার, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার গোপালপুর গ্রামের মো. মিন্টু খানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহিম খান, নড়াইলের চরদিঘলিয়া গ্রামের অলিয়ার রহমান শেখের ছেলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর শেখ।
ফিরে আসা নাবিকরা জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বহন করা নৌযানটি ভারতীয় জলসীমায় দুর্ঘটনায় পড়ে। এঘটনার পর থেকে বাংলাদেশি নয় নাবিককে ভারতের হেমনগর কোস্টাল পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখে দেয়। এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত নৌযানসহ এমভি রাফসান হাবিব-৬ (এম নং ০১-১২৮০) সেখানকার পুলিশের দায়িত্বে ছিল। আটকে পড়া নাবিকদের পরিবারসহ অপরাপর বিভিন্ন সূত্রে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিষয়টি জানতে পেরে তাদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদর দপ্তরের নির্দেশনায় নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের (১৭ বিজিবি) সহায়তায় ভারতীয় পুলিশের হেফাজতে থাকা নাবিকদের উদ্ধারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করে।
শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশি নয় নাবিকসহ দুর্ঘটনা কবলিত নৌযানের প্রত্যাবাসনকালে অন্যান্যের মধ্যে বিজিবি-১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ কামরুল আহসানসহ দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
এসএ