ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘জাহানারা ইমাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মায়ের প্রতিনিধি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
‘জাহানারা ইমাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মায়ের প্রতিনিধি’ বক্তব্য দিচ্ছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: জাহানারা ইমামকে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মায়েদের প্রতিনিধি উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তিনি গোটা জাতির শ্রদ্ধার পাত্র। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এই দেশের জন্মের জন্য নিদারুণ আত্মত্যাগের একটি নাম।

মুক্তিযুদ্ধে তার ত্যাগ দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ উদাহরণ। জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী ব্যাপক গণআন্দোলন পরিচালনা করেন। জাহানারা ইমাম দেখিয়েছেন লড়াইয়ের কোনো বয়স নাই।
 
বুধবার (৩ মে) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘জাহানারা ইমামের আন্দোলন: তরুণদের করণীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
মোস্তাফা জব্বার বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে এবং তাদের মাঝেও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের তরুণরা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন। পরাজয়ের ইতিহাস তাদের নেই।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের যে বাংলাদেশ জন্ম দিয়ে গেছেন আমাদের নতুন প্রজন্মকে সেই বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির প্রেতাত্মারা গুজব, অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বিশেষ করে তরুণ সমাজকেই মোকাবিলা করতে জোরালো প্রচেষ্টা নিতে এগিয়ে আসতে হবে।
 
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কথা সাহিত‌্যিক অধ‌্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, শহিদ সন্তান অধ‌্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, সমাজকর্মী হাসান আবদুল্লাহ বিপ্লব বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক মারুফ রসুল।
 
বাংলা ভাষায় ডিজিটাল যন্ত্রে সংবাদ প্রকাশের উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ভার্চ্যুয়াল জগতে সম্মানিত ব্যক্তিরা সমালোচিত হন আবার অযোগ্যরা সমাদৃত হচ্ছেন। তিনি সাংস্কৃতিক বিকাশের মাধ্যমে এই অসমতা দূর করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
 
তিনি ডিজিটাল অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, আইনের অপপ্রয়োগের জন্য আইনকে দোষারোপ করা যায় না। ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণ সমাজের সক্রিয় থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি অশুভ তৎপরতা নিয়ে এগুতে পারবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
 
জাফর ইকবাল বলেন, জাহানারা ইমাম নিশ্চিত ছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই হবে।  

তিনি প্রগতির পক্ষে তরুণদের কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, তরুণদের সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।

সভাপতির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, ৩১ বছর আগে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের যে নাগরিক আন্দোলনের সূচনা করেছেন বহু ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে তা আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলেও আমাদের আরও দীর্ঘ, কঠিন ও বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।