ঢাকা: তরুণদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে বলে বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শনিবার (০৬ মে) রাজধানীর বনানীস্থ শেরাটন হোটেলে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের '৩৬তম বার্ষিক মাল্টিপল ডিস্ট্রিক্ট কনভেনশন ২০২৩' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে বাংলার মানুষের মুক্তি ছিল তার মূল দর্শন। বাংলার শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য তার সংগ্রাম চির ভাস্বর। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সরকারের পাশাপাশি লায়ন্স সদস্যগণ নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, যা প্রশংসনীয়। বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণে লায়ন্সের সব সদস্যকে আরও নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মূল লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে কল্যাণকামী স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি মূল সোপান- স্মার্ট কমিউনিটি, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি বাস্তবায়নে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে লায়ন্স সদস্যরা স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে। নিজেদের সময়, অর্থ, শ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে লায়ন্স সদস্যগণ সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়ে কাজ করে থাকেন। ২১০টি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনটি দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র হতে মুক্তি ও কল্যাণকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, কৃষকের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট, ছাত্রীদের মায়েদের মোবাইলের মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়া, প্রযুক্তিগত শিক্ষাদানের জন্য শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রবৃদ্ধির মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
এসব ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি লায়ন্স সদস্যদের কাজ করার অপার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করে স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, সংগঠনটির চক্ষু চিকিৎসার পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসা, গবাদি পশু বিতরণ, সেলাই মেশিন বিতরণ ইত্যাদি কার্যক্রম প্রশংসনীয়। মানুষকে স্বাবলম্বী করার কার্যক্রম বিস্তৃত করা দরকার।
কাউন্সিল চেয়ারপারসন লায়ন এস কে কামরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, শেখ কবির হোসেন ও মোসলেম আলী খান। অনুষ্ঠানে মো. ওয়াহিদুর রহমান আজাদ, এ কে এম রেজাউল হক ও এম এ হাসান সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৩
এনবি/এসআইএ
