ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৭

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৭

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদরে রুদ্রকর ইউনিয়নে এক গার্মেন্টস কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।  

শুক্রবার (০৫ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরোসুন্দী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

 

ঘটনায় পরদিন (শনিবার) পালং মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

মামলার পর পরই স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান ঢালীসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

গ্রেপ্তাররা হলেন - রুদ্রকর ইউপির ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মিজান ঢালী (৪৫), মৃত জব্বার ফরাজীর ছেলে মো. জুয়েল ফরাজী (২৪), তোতা বয়াতীর ছেলে মো. সুমন বয়াতী (১৮), আব্দুর রব বয়াতীর ছেলে ইয়াসিন বয়াতী(৩৮), মৃত হাচেন সরদারের ছেলে শাহিন সরদার(৩০), খোকন সরদার(৩৩), রাসেল সরদার(২৬)।  

গ্রেপ্তারকৃত সবাই রুদ্রকর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরোসুন্দী গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পালং মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন।  

তিনি বলেন, মামলায় উল্লেখিত ৭ জনকে ভোর পাঁচটার সময় গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছি। ভূক্তভোগীর বাবার মামলায় তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলমান রয়েছে। ওই গার্মেন্টস কর্মী বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  

মামলার এজহার ও ভূক্তভোগীর পরিবারসূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরোসুন্দী গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল ফরাজী (২৪) বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তাতে রাজি না হয়নি গার্মেন্টস কর্মী কিশোরী।  

ছুটিতে তার বাড়িতে বেড়াতে আসার সংবাদ পেয়ে গোপনে ওঁৎ পেতে থাকেন ধর্ষকেররা। ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বান্ধবী বেড়াতে এসেছিল তার বাড়িতে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বান্ধবীসহ ভুক্তভোগী কিশোরী ঘর থেকে বের হলে তাদের মুখ চেপে ধরে জুয়েল ফরাজীর বোন ফাতেমা বেগমের বাড়ির একতলা ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে নিয়ে যায়। কিশোরীকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে মিজান ঢালী, জুয়েল, সুমন, ইয়াসিন, শাহীন, খোকন, রাসেলসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। গণধর্ষণের সময় ভুক্তভোগী কিশোরীর বান্ধবীকে পাশের রুমে আটকে রাখেন তারা।
 
এ সময় তাদের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

মামলার বাদী ও ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মীর বাবা বলেন, শুক্রবার দুপুরে আমার মেয়েকে হুমকি দিয়েছিল তারা। রাতে আমার মেয়ে ও তার বান্ধবীকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাষবিক নির্যাতন করেছে তারা। বাপ হয়ে মেয়ের এই দুরবস্থা দেখতে হয়েছে আমাকে। আমি সকলের কাছে সাহায্য চাই। এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।

রুদ্রকর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ঢালী বলেন,  ধর্ষণের ঘটনাটি শুনেছি। ধর্ষণ মামলায় পরিষদের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমি বিস্তারিত জানি না।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫, মে ৭, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।