ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বগুড়ার স্কুল মাঠে কুপিয়ে রবিন হত্যার ঘটনায় আটক তিন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
বগুড়ার স্কুল মাঠে কুপিয়ে রবিন হত্যার ঘটনায় আটক তিন 

ঢাকা: বগুড়া সদর থানার ঘনিয়াতলা স্কুল মাঠে প্রকাশ্যে কুপিয়ে চাঞ্চল্যকর রবিন (২২) হত্যা মামলার পলাতক অন্যতম প্রধান ৩ আসামিকে গাজীপুর সদর থানা এলাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাব-১।

রোববার (৭ মে) ভোরে গাজীপুরের সদর থানাধীন ইপসা গেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

 

আটক আসামিরা হলেন- মো. রিতু (২৪), মো. সাগর (২৬) ও মো. নয়ন (২৩)। অভিযানে আসামিদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।  

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।  

র‌্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. পারভেজ রানা বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।  

তিনি জানান, ২০২২ সালের ৯ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া জেলার সদর থানাধীন ঘনিয়াতলা স্কুলের উত্তর পার্শ্বে ভুক্তভোগী মো. রবিন ইসলামকে (২২) গুরুতর রক্তাক্ত জখম ও মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও প্রিন্ট ইলেক্টট্রনিক্স মিডিয়ায় গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নামধারী ৯ জন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর থানা পুলিশ এজহারনামীয় কয়েকজন আসামি আটক করলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল ৩ আসামি ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়। পলাতক হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ৩ জন আসামি আটক ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০২২ সালের ২১ জুন মানববন্ধন করা হয়। বগুড়া সদর থানা পুলিশ র‌্যাব-১ এর কাছে এই মামলার মুল আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনগত সহায়তা কামনা করলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামি গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

তিনি জানান, ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মো. রবিন ইসলামের সঙ্গে আসামিদের এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে ঘটনার দিন তাকে হত্যা করা হয়।  

 ঘটনার সময় রবিন ইসলাম বগুড়া সদর থানাধীন ঘনিয়াতলা স্কুল মাঠে বিদায় অনুষ্ঠান দেখার জন্য উপস্থিত হলে ভুক্তভোগীকে একা পেয়ে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উৎ পেতে থেকে দেশীয় অস্ত্র দা, লোহার রড, ছুরি দিয়ে এলোপাতারি ভাবে গুরুত্বর আঘাত ও রক্তাক্ত জখম করে। এতে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

আটক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এসজেএ/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।