ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাদারীপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
মাদারীপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ

মাদারীপুর: মাদারীপুরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধুকে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহতাবস্থায় ওই গৃহবধূকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

মঙ্গলবার (০২ মে) জেলার সদর উপজেলার বড়াইলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (৮ মে) সকালে ভুক্তভোগীরা এ সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ দেন।

ঘটনার পর সদর থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এমন অভিযোগে অভিযুক্তের বিচার দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার।

জানা গেছে, কয়েক বছর আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী গ্রামের সৈয়দ শহীদের ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের সাইফুল তালুকদারের মেয়ে বৃষ্টি আক্তারের বিয়ে হয়। এরপর থেকেই সৈয়দ সবুজ যৌতুকের টাকার জন্যে বৃষ্টির পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। গত ২ মে রাত ৯টার দিকে বৃষ্টি তার বাবার বাড়ীতে থাকায়বস্থায় তার স্বামী সৈয়দ সবুজসহ ৭ থেকে ৯ জন বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করে পালিয়ে যায়।  

পরে আহত অবস্থায় বৃষ্টিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় ৩ মে রাতে সৈয়দ সবুজসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগটি আমলে না নিয়ে উল্টো সৈয়দ সবুজের একটি মামলা নথিভূক্ত করে। এতে ক্ষুদ্ধ অসহায় বৃষ্টির পরিবার।

এব্যাপারে বৃষ্টির মা লিপি বেগম বলেন, আমার মেয়েকে সবুজসহ তার পরিবার মারধর করে আসছে। ২ মে আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশে বাড়িরর পাশে আহত করে রেখে যায়। এতে আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। কিন্তু আমাদের মামলা পুলিশ নেয়নি। বরং সবুজের মামলা আমলে নিয়ে আমাদের হয়রানি করে আসছে। আমরা এই বর্বারোচিত ঘটনার বিচার দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয় ভুক্তভোগী গৃহবধূর শ্বশুর সৈয়দ সবুজের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রাজি হয়নি।  

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ওই নারীকে নির্যাতনের ঘটনা সত্য না। বরং তার পরিবার সবুজের বাড়ি ঘরে হামলা করেছে। যে কারণে সৈয়দ সবুজের মামলা আমলে নেওয়া হয়েছে। আর ওই নারীর মামলা আমলে নেওয়া হয়নি। আমরা সত্যের পক্ষে আছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।