ঢাকা: মানব পাচার মামলায় অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সির এমডিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। মঙ্গলবার (৯ মে) এই তথ্য নিশ্চিত করেন এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম মিজানুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার খিলগাঁও এলাকার হ্যাপি আক্তার (৩০) চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রিক্রুটিং এজেন্সি স্টার লাইন অ্যাসোসিয়েটের (আর.এল-৭৭৬) মাধ্যমে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে যান।
সেখানে যাওয়ার পর থেকেই নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রতিনিয়ত যৌন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। তিনি এ ঘটনা নিজের স্বামী মো. সেলিম মিয়াকে (৩৭) জানান। এরপর তার স্বামী বারবার যোগযোগ করলে এক পর্যায়ে ভিকটিম হ্যাপি আক্তারকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য রিক্রুটিং এজেন্সি চার লাখ টাকা দাবি করে।
এ অবস্থায় কোন উপায় না পেয়ে সেলিম মিয়া এপিবিএনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তারকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ও ছাড়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ছাড়াই সৌদি আরবের দাম্মাম আরআর শহরে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এপিবিএন প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পায়।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের একটি টিম রিক্রুটিং এজেন্সি স্টার লাইন অ্যাসোসিয়েটের (আর. এল-৭৭৬) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ মো. মানসুরুল হক (৬০) ও অফিস কর্মচারী মো. রাজনকে (৩০) পল্টন মডেল থানা এলাকার চায়না টাউন ভবন থেকে সোমবার (৮ মে) সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ গ্রেপ্তার করে।
অভিযুক্তদের পল্টন মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
এমকে/আরএইচ