ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে সড়ক বিভাজকের গাছ নির্বিচারে কাটার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
মঙ্গলবার (৯ মে) এক বিবৃতিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতীতি তারা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনিতে বৈশ্বিক উষ্ণতার নানা নেতিবাচক প্রভাবে বিপর্যস্ত পরিবেশ প্রকৃতি। বেশ কয়েক মাস ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম দিকে স্থান পাচ্ছে রাজধানী ঢাকা। এবছর তাপমাত্রার দিকে থেকেও এরই মধ্যে রেকর্ড দেখেছে দেশ। এই দূষণ এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে গাছপালা। অথচ, এই সহজ বিষয়টিও অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে নগর পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কর্তৃপক্ষ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রত্যক্ষ মদদে ঠিকাদাররা এরই মধ্যে সাত মসজিদ রোডের কয়েকশ গাছ কেটে ফেলেছে। অথচ গাছ কাটার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র তাদের কাছে ছিল না।
গাছ না কেটে সড়ক সংস্কার বা প্রশস্ত করার অনেকগুলো কার্যকর পদ্ধতি থাকলেও সেগুলো অনুসরণ না করে কার স্বার্থে গাছ কেটে পরিবেশ ও প্রকৃতির এতো বড় ক্ষতি করা হলো সে প্রশ্ন তোলেন উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা বলেন, সাত মসজিদ রোডে গাছ কাটার প্রতিবাদে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেখানে এরই মধ্যে উদীচী মোহাম্মদপুর এবং ধানমন্ডি শাখা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এই আন্দোলনের সঙ্গে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদও সংহতি প্রকাশ করছে। অবিলম্বে গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, নতুন করে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান উদীচী নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, শুধু ধানমন্ডিতে গাছ কাটাই নয়, গুলশানে একটি পার্কের চারপাশে কাঁচ দিয়ে ঘেরাও করার পরিকল্পনাও বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে। অথচ পার্ক তৈরি করার মূল চিন্তাই হলো বাধাহীন বাতাস চলাচলের উন্মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। এ ধরনের উদ্ভট ও অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত কারা, কোন যুক্তিতে নেয় সে প্রশ্ন তুলে অবিলম্বে এমন সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিও জানান উদীচীর নেতারা।
>>আরও পড়ুন: সাতমসজিদ সড়কের গাছ কাটা বন্ধ করার দাবি
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
এইচএমএস/এসএ