ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

 ‘মোখা’মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
 ‘মোখা’মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় 

ঢাকা: ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও জনগণকে সচেতন করতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।  

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ও সচিবের রুটিন দায়িত্বে নূরুল আলমের সভাপতিত্বে আগাম প্রস্তুতিমূলক সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলা ও জেলার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মল্লিক সাঈদ মাহবুব এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য ও সেবা দিতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জরুরি সেবা নম্বর-০১৩১৮-২৩৪৫৬০ এবং ০১৭৭৫-৪৮০০৭৫।  

দেশের দক্ষিণাঞ্চল, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানার আশঙ্কা থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলাগুলোর নাজুক এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুত এলাকাবসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হবে। জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় রেডক্রিসেন্ট ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা গ্রহণ করতে হবে।

সভায় আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়; ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলাসমূহের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ চিহ্নিত করে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োজিত করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় মজুদ জিও ব্যাগ, সিন্ন্থেটিক ব্যাগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য জেলা হতে জিও ব্যাগ সংগ্রহ করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাঁধ ভেঙ্গে এলাকায় পানি প্রবেশ করলে বাপাউবোর পক্ষ হতে বোতলজাত পানি এবং শুকনা খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ খাবার পানি,শুকনা খাবার এবং নৌযান প্রস্তুত রাখতে হবে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের এলাকায় বাপাউবোর সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাইট পরিদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার জেলা-উপজেলার সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাকর্মচাদের সার্বক্ষণিকভাবে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় এবং কোনো অবস্থাতেই কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না। এলাকার নির্বাহী প্রকৌশলীরা স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন,যাতে প্রয়োজনের সময় জনবলসহ পর্যাপ্ত সহায়তা পাওয়া যায়।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্য পর্যায়ে অবহিত করবেন। গণমাধ্যমকে গৃহীত ব্যবস্থা বা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।

ঘূর্ণিঝড় পরবরর্তী অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩ 
জিসিজি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।