পটুয়াখালী: দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় পটুয়াখালী জেলায় ৭০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৪০টি মুজিব কেল্লা, ৮ হাজার ৫৭০ জন সিপিপি সদস্য ও ৭৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা সদরসহ সকল উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ‘মোখা’ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে সভা করে পটুয়াখালী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
এসময় জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা নিজ দপ্তরের প্রস্তুতি তথ্য তুলে ধরেন। দুর্যোগ মোকাবিলা প্রশাসন, র্যাব, পুলিশ, আনসার, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৭০৩ টি সাইক্লোন সেল্টার ৪০টি মুজিব কেল্লার পরেও প্রয়োজন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি- বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও ব্যবহার করা হবে। এছাড়া গৃহপালিত প্রাণীদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দুর্যোগ চলাকালীন শুকনো খাবারের জন্য ৮ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা ও ৪০০ মেট্রিক টন চাল, ১৪৬ বান্ডিল টেউটিন এবং গৃহনির্মাণ বাবদ ৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে। এছাড়াও ২ লাখ খাবার স্যালাইন, ৪ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে।
এছাড়াও প্রয়োজনে সরকারের কাছ নগদ অর্থ এবং শুকনো খাবারের চাহিদা চাওয়া হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ৭৫টি মেডিকেল টিম, ৮ হাজারেরও বেশি সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসের কমিউনিটি ভলান্টিয়ারসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের প্রস্তুত করা হয়েছে।
সভায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ জরুরি মেরামত ও নলকুপগুলোতে লবন পানি প্রবেশ রোধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও বিদ্যুত বিভাগকে দ্রুত সেবা দিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল নিয়ে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এসএএইচ