বরিশাল: মেঘনা, কালাবদর, আড়িয়াল খা, বিষখালী, পায়রাসহ অসংখ্য নদীতে বেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চল তথা গোটা বরিশাল বিভাগ। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে হরামেশা কোনো না কোনো বিপর্যয়ের শঙ্কা থাকেই এ অঞ্চলে।
স্বাভাবিকভাবে এসব দুর্যোগকে কেন্দ্র করে নদী ভাঙনও বেড়ে যায় এ অঞ্চলে। এবারেও ঘূর্ণিঝড় মোখায় বরিশাল অঞ্চলে নদী ভাঙন দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে আড়িয়াল খাঁ ও মেঘনা নদী তীরবর্তী বরিশাল সদর, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের বেশ কিছু অঞ্চলে ভাঙ্ঙন দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও শক্তি পর্যালোচনা করে এমন ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১২ মে) সকালে এসব কথা সাংবাদিকদের জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখায় বরিশাল ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা কমিটি খুব ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করছে না। তবে ঘূর্ণিঝড়ে নদীর পানি বাড়লে জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলা মারাত্মকভাবে নদী ভাঙনের কবলে পড়বে। নদীর স্রোত বিশ্লেষণ করে মেঘনা ও আড়িয়াল খাঁ সেই ক্ষতির কারণ বাড়াতে পারে।
পাউবো ধারণা করছে, মেঘনা তীরবর্তী হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ এবং আড়িয়াল খাঁ সংলগ্ন লামচড়ি, শায়েস্তাবাদে ভাঙন দেখা দেবে।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুন্নবি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পেয়ে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে আমার পুরো উপজেলা ঝুঁকিপূর্ণ। সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড় ও পরবর্তী সংকট মোকাবিলা করা হবে।
প্রসঙ্গত, সিডর, আইলা, সিত্রাং পরবর্তী সময়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রকট আকার ধারন করেছিল নদী ভাঙন। ভাঙণ ঠেকাতে নেওয়া পদক্ষেপ অপ্রতুল বলে দাবি বাসিন্দাদের।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতির শঙ্কার ক্ষেতে থাকা পাকা ধান কেটে নিচ্ছে কৃষকরা। এছাড়া অন্যান্য পরিপক্ক ফসলও ঘরে তোলার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এমএস/এসএ