কক্সবাজার: অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় মোখার উচ্চ ঝুঁকিতে আছে বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রবল ঝড়ের আঘাত থেকে বাঁচতে তাই দ্বীপ ছেড়ে এসে টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন সেখানকার অন্তত আড়াই হাজার বাসিন্দা।
জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখা ও খাওয়া-দাওয়ায় আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) মধ্যে জেলার উপকূলের ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হবে।
রোববার (১৪ মে) এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে ওইদিনের পরীক্ষার তারিখ ঘোষনাণা করা হবে।
শুক্রবার (১২ মে) রাত ৮টায় জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক।
সভায় তিনি বলেন, দ্বীপটি যেহেতু উচ্চ ঝুঁকিতে আছে সেজন্য সেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানকার জন্য পর্যাপ্ত চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্বীপের সব দোতলা হোটেল, রিসোর্টে যাতে বাসিন্দারা আশ্রয় নিতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশেষ মুহূর্তে সেখানে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
সভায় জানানো হয়, জেলার উপকূলীয় এলাকার ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উঁচু ভবনে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ মানুষ কেন্দ্রগুলোয় আশ্রয় নিতে পারবে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এসবি/এমজে