বাগেরহাট: ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে মোংলা বন্দর জেটিতে নোঙর করেছে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের চারটি যুদ্ধজাহাজ।
মোংলা বন্দরের সাত ও আট নম্বর জেটিতে শুক্রবার (১২ মে) রাতে জাহাজ চারটি নোঙর করে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহিন মজিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে জাহাজগুলো নোঙর করেছে। দুর্যোগ কেটে গেলে পুনরায় এসব জাহাজ তাদের গন্তব্যে ফিরে যাবে।
এদিকে মোখা কারণে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে উপকূল রক্ষা বাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড মোংলা জোন কর্তৃপক্ষ।
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষার্থে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কর্মকর্তা ও নাবিকদের ঘূর্ণিঝড় উপলক্ষে উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে নিয়োজিত করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলো, সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন ঝুকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সাইক্লোন শেল্টারে নেওয়ার পাশাপাশি কোস্টগার্ড স্টেশনে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্টগার্ডের সব জাহাজ, বোট, স্টেশন, আউটপোস্ট এবং ডিজাস্টার রিসপন্স অ্যান্ড রেস্কিউ টিম প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতোমধ্যে কোস্টগার্ডের মেডিকেল টিম প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধনের জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক বিশেষ কন্ট্রোলরুম-০১৭৬৯৪৪৪৯৯৯ পরিচালনা করা হচ্ছে।
উওর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকছি থেকে সাবধানে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যেকোনো সংকটকালীন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও তথ্যের জন্য কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন এর অধিনস্থ সব জাহাজ, স্টেশন এবং আউটপোস্টগুলো সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
আরএ