কক্সবাজার: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে রক্ষায় শনিবার (১৩মে) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারের ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩৮ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, জেলায় সিপিপির ৮ হাজার ৬০০ জন এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ২ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।
সেন্টমার্টিনে নেভি, কোস্ট গার্ড, পুলিশসহ অন্যদের মিলিয়ে ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। তাই সেখানে সরকারি স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।
দুর্যোগকালীন ২০ লাখ নগদ টাকা রাখা হয়েছে; যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ৫.৯০ টন চাল, ৩.৫ টন টোস্ট বিস্কুট, ৩.৪ টন শুকনা কেক, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়েছে।
প্রস্তুত রয়েছে ৬২০টি আশ্রয়কেন্দ্র। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে ৬ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
আজ শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে মেডিকেল দল, কোস্ট গার্ড, নৌ-বাহিনী, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক দল, স্কাউট দল, আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষন কান্তি দাশ।
তিনি আরও বলেন, শনিবার সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দিয়েছি। উপকূলের মানুষ আসতে শুরু করেছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এসবি/এসএ