ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার পরিদর্শন করলেন রাষ্ট্রপতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার পরিদর্শন করলেন রাষ্ট্রপতি

পাবনা: শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী পাবনার ললক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যা রাতে তিনি আকস্মিকভাবে সবাইকে চমকে দিয়ে তার স্মৃতি বিজরিত জেলার অন্যতম এই মিষ্টির দোকানে কিছুটা সময় কাটান।

এই জেলার মাটি মানুষ ও বাতাসের সঙ্গে তার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে তার এই প্রতিষ্ঠানটির আঙ্গিনায় ও বেঞ্চে বসে।

দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেও তিনি তার অতীত বা শেকড়কে ভুলে যাননি। তাইতো তিনি সবাইকে অবাক করে হঠাৎই চলে আসেন লক্ষী মিষ্টান্ন ভান্ডারে মিষ্টি খেতে। এই লক্ষী মিষ্টি ভান্ডারের পরিবারের সব সদস্যদের সাথে তার রয়েছে নিবিড় ভালোবাসার সম্পর্ক। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অনেকটা সময় তিনি পার করেছে এই মিষ্টির দোকানের আঙ্গিনায় আড্ডার ছলে। তৎকালীন সময়ে জেলার বেশিরভাগ ছাত্রনেতা ও তাদের বন্ধুবান্ধবদের আড্ডার অন্যতম স্থান ছিল এই লক্ষীর দোকান ঘর।

কঠোর প্রশাসনিক নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তিনি চলে আসেন লক্ষীর মিষ্টির দোকান ঘরে। তবে এই খবর বসে থাকেনি। মুহূর্তে সারা শহরে ছড়িয়ে পড়ে এ খবর। রাষ্ট্রপতিকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন সেখানে। তবে প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর হওয়াতে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক মানুষে সেখানে প্রবেশের অনুমতি পায়। এদের মধ্যে লক্ষী পরিবারের সদস্য ও স্বত্বাধিকারী প্রয়াত স্বর্গীয় লক্ষী নারায়ণ ঘোষ এর ছেলে ভোলানাথ ঘোষ, অনুফ কুমার ঘোষ, বাদল কুমার ঘোষ, নাতি গৌতম ঘোষ ও বাপ্পা ঘোষ। এছাড়া এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, বীর মুক্তিযোদ্বা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় ভুষন রায় ও প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান।

দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি পাবনার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চারদিনের সফরে নিজ জেলা শহর পাবনাতে বর্তমানে অবস্থান করছেন। তার এই সফরকে ঘিরে পুরো জেলাতে নেওয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরপত্তা ব্যবস্থা। শপথগ্রহণের পরে প্রথম কর্মসূচিতে তিনি তার নিজ জেলা শহর পাবনাতে আগমন করেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে পাবনাতে আসেন।  

শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে নামার পরে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। এর পরে তিনি তার কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাবনা জেলা পরিষদ চত্বরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু চত্বরের নাম ফলক উন্মোচন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্তাবক অর্পণ করেন। এর পরে তিনি সদর আরিফপুর কবর স্থানে তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় ও বিকেকলে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সমাজ আয়োজিত নাগরিক সর্বধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।