ঢাকা: প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন না হলে তার ফলাফল হয় বিপর্যয়কর। সাম্প্রতিক সময় রাজধানীর তাপমাত্রার রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে, এমতাবস্থায় অক্সিজেনের অকৃত্রিম উৎস গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী।
মঙ্গলবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজধানীর সাত মসজিদ সড়কের গাছ কাটার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা এ কথা বলেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগর কমিটি।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু ধর। বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিপূর্ণ একটি গাছ অন্তত দুইজন মানুষের সারা বছরের অক্সিজেনের যোগান দেয়। বাৎসরিক ৪৮ পাউন্ড হারে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে একটি গাছ গ্রিন হাউস প্রক্রিয়াকে রুখতে সাহায্য করে। তাই সারা বিশ্বে আজ প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার সচেতনতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ উন্নয়নের নামে গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংসের পথে হাঁটছে। বিশ্বব্যাপী উষ্ণয়নের মধ্যে এমন প্রকৃতি বিধ্বংসী নীতি জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
অবিলম্বে ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়কের গাছ কাটা বন্ধের দাবি জানিয়ে মঞ্জু ধর বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প প্রণীত হয় জনগণের জন্য, জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। উন্নয়নের পরিকল্পনায় তাই প্রকৃতি ও পরিবেশকে আত্তীকরণ করতে হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান জানাই উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসের নীতি থেকে সরে নগরজুড়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি তরান্বিত করার।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিপর্যয় রোধে বিশ্বব্যাপী যখন পরিবেশ সংরক্ষণের নীতি নেওয়া হয়েছে, সেখানে গাছে কাটা অপরাধ প্রবণতা। গাছ কেটে নগর জীবন নষ্ট করবেন না। গাছ কাটার অপ-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণপ্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সহায়তায় গাছ কাটার বিরুদ্ধে প্রচার এবং পরিবেশ সংরক্ষণে জনমত গড়ে তুলতে হবে।
মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাহাতাবুন্নেসা। এ সময় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা খান ও জুয়েলা জেবুন্নেসা খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
ইএসএস/এসআইএ