ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুঠিয়ায় হাতা-পা বেঁধে ভ্যানচালককে হত্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
পুঠিয়ায় হাতা-পা বেঁধে ভ্যানচালককে হত্যা

রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়ায় হাত-পা ও মুখ বেঁধে ভ্যানচালক কালু কাজীকে (৪৫) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার সঙ্গে থাকা ভ্যানযাত্রীকেও বেঁধে মারপিট করা হয়েছে।

এ সময় রিকশাভ্যান ও ব্যবসায়ীর নগদ টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে গেছে তারা।  

শনিবার (২০ মে) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শেষ সীমান্ত জিউপাড়া ইউনিয়নের সেনভাগ দেওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

রোববার (২১ মে) ভোরে খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

কালু কাজী তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এই ঘটনায় আহত কাঁচামাল ব্যবসায়ীর নাম আব্দুল আউয়াল (৫২)। তিনি পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা।

রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, ভ্যানচালক কালু গাজীকে নিয়ে গত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল কাঁচামাল কিনতে নাটোরে যাচ্ছিলেন। তারা ভোররাতে নাটোর থেকে কাঁচামাল (সবজি) নিয়ে এসে পুঠিয়া উপজেলায় বিক্রি করেন। গতরাতে তারা নাটোরের উদ্দেশে রওনা দিলে পুঠিয়া শেষ সীমানা জিওপাড়া ইউনিয়নের সেনভাগ দেওপাড়া গ্রামে আসলে এ ঘটনা ঘটে।

ওসি বলেন, আহত কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল পুলিশকে জানিয়েছেন তারা সেনভাগে পৌঁছানোর পর সড়কের পাশেই বসে থাকা তিন জন দুর্বৃত্ত প্রথমে তাদের গতিরোধের চেষ্টা করে। এ সময় তারা লাঠি দিয়ে ভ্যানচালক কালুর হাতে বাড়ি দেয়। পরে তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদেরকে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ভ্যানের চাবি চাইলে তাদের সঙ্গে কালুর ধস্তাধস্তি হয়ে। এক পর্যায়ে কালু ভ্যানের চাবি জঙ্গলের মধ্যে ছুড়ে ফেলে। এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

পরে দুর্বৃত্তরা এ সময় তাদের দুজনের পরনের কাপড় খুলে সেগুলো দিয়েই হাত-পা মুখ বেঁধে ফেলে। তারা কালুকে মারপিট করতে করতে উত্তরের জঙ্গলে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে। আর তাকে (আওয়ালকে) রাস্তার পাশেই মারপিট করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়। পরে দুর্বৃত্তরা তাদের কাছে থাকা নগদ টাকাপয়সা ও কালুর সেই ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন আওয়াল।

এদিকে আব্দুল আউয়ালের গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে ওই দিক দিয়ে যাওয়া এক ট্রলি চালক তার মুখ ও হাতের বাঁধন খুলে দেয়। এরপর তারা চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন আসেন। তারা থানায় খবর দিলে ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

ওসি আরও বলেন, বর্তমানে তারা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন। আহত আব্দুল আউয়ালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এছাড়া নিহত ভ্যানচালক কালুর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এটি শেষ হলে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
এসএস/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।