ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপের আদর্শ সময় এখনই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপের আদর্শ সময় এখনই ছবি- রেজাউল করিম রাজা

ঢাকা: সিগারেটসহ সব ধরণের তামাক পণ্যের খুচরা মূল্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়ে সেগুলোর ওপর বেশি হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করলে, একদিকে যেমন তামাক ব্যবহার কমবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

বিদ্যমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপের জন্য আদর্শ সময় এখনই বলে মনে করেন সংসদ সদস্য, অর্থনীতিবিদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এবং নাগরিক সমাজের নেতারা।

বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে অনুষ্ঠিত ‘তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপ বিষয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনা’ থেকে এসব কথা বলা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

তিনি বলেন, প্রতি বছরই তামাক পণ্যের দাম অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়। তবে এগুলোর ওপর শুল্ক অপরিবর্তিত থাকে। কিন্তু মাথাপিছু আয়বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় এক ধাক্কায় অনেকখানি দাম বাড়ানো এবং সেই বর্ধিত দামের ওপর সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমেই তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপ সম্ভব।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খান, মৃনাল কান্তি দাস, মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হেলাল আহম্মেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, সিপিডির রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা।  

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের হেড অফ প্রোগ্রাম শাহীন উল আলম।

নিম্ন স্তরের সিগারেটে অন্যান্য স্তরের সিগারেটের তুলনায় কম সম্পূরক শুল্ক থাকার কারণে সিগারেট কোম্পানিগুলো বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলে সব স্তরের সিগারেটে সমান কর আরোপের দাবি জানান উন্নয়ন সমন্বয়ের লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা।  

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার আবদুল গাফফার এবং স্থপতি ইকবাল হাবিব।

সভাপতির বক্তব্যে বিআইডিএসর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এস. এম. জুলফিকার আলী বলেন, তামাক পণ্যের দাম বাড়ালেই কর হারানোর যে আশঙ্কা করা হয়, তার ভিত্তি নেই। বরং মধ্য মেয়াদে অর্থাৎ আগামী ২-৩ বছর তামাক পণ্যের দাম বাড়িয়ে সেখান থেকে সরকারের পক্ষে বাড়তি রাজস্ব আয় সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
আরকেআর/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।