ঢাকা: বরেণ্য লেখক-গবেষক, বুদ্ধিজীবী, শিশু-কিশোর আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক সংগঠক সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক পান্না কায়সারের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে)।
একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক, লেখক এবং রাজনীতিবিদ শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সারের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৫ মে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর এই শহীদজায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাল সময়কালে শহীদুল্লাহ কায়সার এর হাত ধরে শুরু করে তার প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। এরপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর থেকে পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে।
সংসার জীবনে আবদ্ধ না থেকে পান্না কায়সার দায়িত্ব নিয়েছেন লাখো-কোটি শিশু-কিশোরকে সোনার মানুষে পরিণত করার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন 'খেলাঘর' এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন তিনি। ছিলেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতিও।
১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন পান্না কায়সার। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখায় ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে নানা আয়োজন করেছে খেলাঘর পরিবার। আগামীকাল শুক্রবার (২৬ মে) তার ইস্কাটন গাউসনগরের বাসভবনে বিকেল পাঁচটা থেকে কেক কেটে, নেচে-গেয়ে আনন্দ আড্ডায় মাতবেন খেলাঘরের কর্মী-সংগঠক ও অভিভাবকরা। অনুষ্ঠানে থাকবেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী-সংগঠকরাও।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
ইএসএস/আরএ