ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মার্কিন ভিসানীতির যথেচ্ছ ব্যবহার যেন না হয়: শাহরিয়ার

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
মার্কিন ভিসানীতির যথেচ্ছ ব্যবহার যেন না হয়: শাহরিয়ার

ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের একটি নতুন সংযোজন। যেকোনো নতুন প্রভিশনেই একটা সংশয় থাকে, প্রশ্ন থাকে।

তবে একটা সময় পার হলে এটা পরিপূর্ণ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংশোধিত আইনটি মাত্র এক বছর আগে করা হয়েছে। যেটা তারা মাত্র দুই-একটি দেশে প্রয়োগ করেছে। সেই কারণে আমরা বলেছি, এটার যথেচ্ছ ব্যবহার যেন না হয়, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র কেন বাংলাদেশকে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিল—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা বোধ হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জিজ্ঞাসা করলে জানা যাবে।  তবে যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে এক বৈঠকে আমাদের বিষয়টি জানিয়েছিল। এই বার্তাটি যেন ভুলভাবে না যায়। সঠিকভাবে ধারণাটি যায়। আপনারা গত ৫-৭ দিনের ঘটনা প্রবাহ দেখেছেন, এটা নিয়ে জাতীয়তাবাদী দল অপব্যবহারের চেষ্টা করেছে। তবে দুই বছর আগে যেটা ঘটেছিল, এটা ঠিক তেমনটি নয়।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটাতে খুশি অখুশির কোনো বিষয় নেই। তারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে  প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেটাকে আমলে নিয়েই তারা এটা (নতুন ভিসানীতি) দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে শাহরিয়ার আলম বলেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাধীন, বিশ্বাসযোগ্য ও দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সক্ষমতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ অনুমোদিত হয়েছে। এ আইন অনুসারে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পরিচালনার সুবিধার্থে সামগ্রিক নির্বাহী যন্ত্র কমিশনের নির্দেশনার আওতাধীন থাকবে।

সে অনুযায়ী, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর যেকোনো অবৈধ প্রচেষ্টা বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবিলা করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সামগ্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির আওতায় রাখা হবে এবং এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও অংশগ্রহণ থাকবে। সরকার আশা করে যে, জাতীয় পর্যায়ে যেসব অগণতান্ত্রিক শক্তি সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের আশ্রয় নেয়, তারা সতর্ক থাকবে এবং সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, কঠিন ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অর্জনকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের উপরেই বর্তায়। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহত অঙ্গীকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় সমর্থনকে বাংলাদেশ সরকার সর্বদাই ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করে।

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে বুধবার (২৪ মে) নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ভিসানীতির আওতায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িতদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করবে দেশটি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।