ফরিদপুর: ফরিদপুরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা বাখুন্ডা বাজারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৩০ জনের একদল ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে বাজারের পাঁচজন নৈশপ্রহরীকে বেঁধে মারধরের পর ১০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এ ডাকাতি করেন।
শনিবার (২৭ মে) ভোর রাতের এ ডাকাতির ঘটনায় নগদ টাকাসহ প্রায় সাড়ে ৫ লাখের বেশি টাকার মালামাল লুট হয় বলে জানা গেছে।
ডাকাতের হামলায় আহত জালাল (৪৫) নামে একজন নৈশপ্রহরীকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাখুন্ডা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাদের বাজারের তিনপাশে গেট দিয়ে আটকানো। ভোর রাতে গাড়িতে করে এসে ডাকাতেরা বাজারের অদূরে নেমে মুখ ঢেকে পায়ে হেঁটে সিঁড়ি দিয়ে বাজারে প্রবেশ করে। এরপর বাজারের নৈশপ্রহরীদের বেঁধে একেকজনকে একেকস্থানে ফেলে রাখে। ডাকাতদের হাতে পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল।
তিনি জানান, এসময় বাখুন্ডা বাজারের পাশে মাটি কাটার কাজে নিযুক্ত ভেকু চালকদেরও ডাকাতেরা বেঁধে মারধর করে। এরপর একে একে বাজারের বড় বড় ১০টি দোকানের তালা ভেঙে প্রবেশ করে। দোকানের আলমারি খুলতে ডাকাতেরা লোহা কাটার গ্যাস সিলিন্ডারের যন্ত্র নিয়ে আসে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, এ ঘটনায় বাজারের চাল ব্যবসায়ী রাজীব শেখের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সবচেয়ে বেশি নগদ টাকা ও মালামাল লুট করা হয়। এছাড়া গোবিন্দ দত্তের মুক্তা জুয়েলার্স, ধীরেন চন্দ্রের মা জুয়েলার্স, ফজলুল হকের তালুকদার হার্ডওয়ার, উৎপল দত্তের অনিক জুয়েলার্স, দেলোয়ার হোসেনের ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান, দুটি মুদি দোকান, একটি ফলের দোকান ও একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে ডাকাতি করা হয়।
স্বর্ণের দোকানি গোবিন্দ জানান, তারা গ্যাসের আগুন দিয়ে দোকানের আলমারি খোলার চেষ্টা করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা তারা এই চেষ্টা চালায়।
ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.এ জলিল।
এব্যাপারে তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমিও গিয়ে দেখে এসেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মামলা দায়েরের পর বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এসএএইচ