বরিশাল: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মাদারকাঠি গ্রামের রাস্তার পাশে টং-দোকান ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন হানিফ হাওলাদার। যেখানে চা,পান, সিগারেট, বনরুটি, বিস্কুট ছাড়া আর তেমন কিছুই নেই।
জীর্ণশীর্ণ দোকানটিতে মাসিক ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে চা-পান বিক্রি করে কোনোমতে চলে হানিফের টানাটানির সংসার।
এই দোকানের মালিকের নাম সালাউদ্দিন। তার নামে বিদ্যুতের মিটার থাকলেও ভাড়াটিয়া হিসেবে প্রতিমাসে বিল পরিশোধ করেন হানিফ। একটি বাতি ও একটি পাখা চালিয়ে দোকানটিতে ২ থেকে ৩ শত টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল আসে না।
অথচ চলতি মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২ লাখ ৬০ হাজার ১৮৩ টাকা! যা ৯ জুনের মধ্যে তাকে পরিশোধ করার মেয়াদ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অথচ সবশেষ গত মাসে হানিফের বিদ্যুৎ বিল আসে ৩৪০ টাকা।
এবারের ভুতুড়ে বিলের কাগজ হাতে পেয়ে দরিদ্র চা দোকানি হানিফ হতবাক ও দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে হানিফ হাওলাদার বলেন, ২ লাখ ৬০ হাজার ১৮৩ টাকা! এ তো অসম্ভব। কোনো মার্কেটের বিলও তো এতো হয় না। আর আমার তো টং-দোকান। এ দোকান বেচলেও তো এতো টাকা পাওয়া যাবে না। ভুতুড়ে এই বিদ্যুৎ বিল কেন এলো বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে বিলের কাগজে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে তারা অফিসে যেতে বলেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর বানারীপাড়া সাব জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) প্রকৌশলী মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রয়েছেন বলে জানান।
হানিফ হাওলাদারের বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।
তবে বানারীপাড়া সাব জোনাল অফিসের লাইনম্যান নূরুজ্জামান বলেন, ওনার বিলের ইউনিট ঠিক আছে কিন্তু টাকার অংশে ভুল ক্রমে অতিরিক্ত লেখা হয়েছে। এটা সফটওয়্যার মিস্টেকের কারণে হয়েছে। হানিফ হাওলাদারকে অফিসে আসতে বলা হয়েছে। তিনি এলেই তার বিল ঠিক করে দেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে হানিফের প্রশ্ন এই ভুতুড়ে আকাশচুম্বী বিল ঠিক করতে বিদ্যুৎ অফিসে যাওয়া-আসার খরচ কে মেটাবে, সেইসঙ্গে সংশোধনী কাজের জন্য চলে যাওয়া সময়টাতে তার দোকান কে চালাবে?
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এমএস/এসএএইচ