ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাটিচাপার কথা বলে নিজ গ্রামে নিয়ে মরা গরুর মাংস বিক্রি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
মাটিচাপার কথা বলে নিজ গ্রামে নিয়ে মরা গরুর মাংস বিক্রি

বরগুনা: পাশের গ্রামে অসুস্থ হয়ে মরে যাওয়া গরু মাটিচাপা দেওয়ার কথা বলে নিজ গ্রামে নিয়ে সেই গরুর মাংস কম মূল্যে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করার ঘটনা ঘটেছে বরগুনার আমতলীতে।  

মরা গরুবিক্রেতা রিপন রাঢ়ি নামের এক প্রতারক খুঁজছে এলাকাবাসী।

রিপন সদর ইউনিয়নের ভায়লাবুনিয়া গ্রামের আলতাফ রাঢ়ির ছেলে।

স্থানীয়দের কাছে মরা গুরুর মাংস বিক্রির পর তা জানাজানি হলে প্রতারক রিপন গা-ঢাকা দিয়েছেন।

এদিকে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার (২৮ মে ) সকালে রিপন রাঢ়ীর কঠোর শাস্তির দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গা গ্রামের নান্টু হাওলাদারের একটি ষাঁড় রোগাক্রান্ত হয়ে গত ২৩ মে মারা যায়। রিপন রাঢ়ি গরুটির চামড়া খুলে মাটিচাপা দেবেন বলে কথা বলে নিয়ে যায়। কিন্তু গরুটিকে মাটিচাপা না দিয়ে এটি কেটে টুকরো টুকরো করে প্রতিকেজি মাংস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন।

এতো কম মূল্যে মাংস বিক্রি করায় সন্দেহ হলে গ্রামবাসীর। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে রিপন রাঢ়ি বলেন, গরুর নাড়ি ভুঁড়িতে প্যাঁচ পরে যাওয়ার ৫ হাজার টাকায় ওই গরুটি তিনি কিনেছেন। এরপর দ্রুত জবাই করেছেন। এজন্য তিনি কম মূল্যে মাংস বিক্রি করতে পারছেন।

পরে স্থানীয়রা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রিপন রাঢ়ি পার্শ্ববর্তী মহিষডাঙ্গা গ্রামের নান্টু হাওলাদারের অসুস্থ হয়ে মরে যাওয়া গরু মাটিচাপা দেওয়ার কথা বলে নিয়ে এসে এলাকায় বিক্রি করেছেন।

মরা গরুর প্রকৃত মালিক নান্টু হাওলাদার বলেন, আমার গরুটি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিল। পরে গরুটি মারা গেলে রিপন রাঢ়ি আমার কাছে এসে এর চামড়া খুলে মাটি চাপা দেবে বলে নিয়ে যায়। এখন শুনছি তিনি মরা গরুটি মাটিতে চাপা না দিয়ে প্রতারণা করে সেই মাংস কেজি হিসেবে বিক্রি করেছেন।

অভিযুক্ত রিপন রাঢ়ির বাবা আলতাফ রাঢ়ি বলেন, গরুটি মরা ছিল কি না তা আমার জানা ছিল না।

ওই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন মালাকার বলেন, খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। যারা ওই মরা গরুর মাংস কিনেছেন তাদের সেটি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রিপন রাঢ়ি পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে পারলে সঠিক বিচার হবে বলে আশা করছি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। রিপন রাঢ়ীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম মোবাইল ফোনে বলেন, গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমতলী থানার ওসিকে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।