ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দেড় বছর আগের ভোটে পরাজিত প্রার্থীর পক্ষে সিল মারা ১০০ ব্যালট জব্দ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
দেড় বছর আগের ভোটে পরাজিত প্রার্থীর পক্ষে সিল মারা ১০০ ব্যালট জব্দ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ ( ইউপি) নির্বাচনের দেড় বছর পর মাত্র ৭ ভোটে পরাজিত এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর পক্ষে সিল মারা ১০০ ব্যালট পেপার জব্দ করেছে পুলিশ।  

রোববার (২৮ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে সিল সম্বলিত ব্যালট পেপারগুলো জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২৭ মে) বিকেলে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের কার্পেট পরিবর্তন করতে গেলে ব্যালট পেপারগুলো বেরিয়ে আসে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ওই বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার (২৭ মে) বিদ্যালয়ের পিয়ন মো. ওসমান গণি অফিস কক্ষের কার্পেট পরিবর্তন করার সময় তিনি টেবিলের নিচে সিল মারা ১০০ ব্যালট পেপার দেখতে পান। পরে বিষয়টি তিনি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সরকারকে জানান। প্রধান শিক্ষক তাৎক্ষণিক বিষয়টি থানা পুলিশ ও নির্বাচন অফিসারকে অবগত করেন।  

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১০০ ব্যালট পেপার জব্দ করে পুলিশ। ব্যালট পেপারগুলোতে ৭ ভোটে হেরে যাওয়া প্রার্থী ছাইদার রহমানের তালা প্রতীকে সিল মারা। এই নির্বাচনে বর্তমান ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম ৭ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন।  

এ বিষয়ে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী ছাইদার বলেন, ভোট গণনাকালে তার তালা মার্কায় সিল মারা ব্যালট পেপার লুকিয়ে রেখে পরিকল্পিত ভাবে তাকে পরাজিত করা হয়েছে। তিনি তদন্ত সাপেক্ষ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি কামনাসহ দুর্নীতি করে বিজয়ী প্রার্থীর গেজেট বাতিলের দাবি জানান।

বর্তমান ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম জানান, গেজেট অনুযায়ী শপথ গ্রহণ করে তিনি ওয়ার্ড সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলার সাবেক কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও বর্তমান গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম ফরিদুল হক জানান, তার জানা মতে ওই কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিধি মোতাবেক ভোট গণনার পর সব প্রার্থীর এজেন্টকে ফলাফল শিট সরবরাহ করা হয়েছে। সেসময় সময় প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্বরত কেউ কোনো আপত্তি উত্থাপন করেনি।

এ বিষয়ে শান্তিরাম ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম সাবু জানান, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতদিন পরে এসে ব্যালট পেপার উদ্ধারের বিষয়টি রহস্যজনক।  

উপজেলা নির্বাচন অফিসার সেকেন্দার আলী জানান, বিষয়টি কমিশনে জানানো হবে। পরবর্তী আদেশ অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।