ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে দুই নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, পরিবারের দাবি আত্মহত্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
রাজধানীতে দুই নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, পরিবারের দাবি আত্মহত্যা ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকায় একটি বাসায় মেহনাজ ফরিদ ঐশি (২৯) নামে ও ভাটারা এলাকায় শারমিন আক্তার (২৬) নামে দুই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ।

বুধবার (৩১ মে) মধ্যরাতে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে ঐশি। স্বামী গোলাম রব্বানি ও একমাত্র ছেলেসহ থাকতেন বনশ্রীর ডি ব্লকের একটি বাসায়।

তার মামা এনামুল হক জানান, বুধবার ছেলেকে নিয়ে তার স্বামী বাসার বাইরে যান বাজার করতে। রাতের দিকে ফিরে রুমের দরজা বন্ধ দেখতে পান। তখন ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে রুমে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মেহনাজ ফরিদ ঐশিকে দেখতে পান বলে তাদের কাছে দাবি করেছেন তার স্বামী গোলাম রাব্বানী।  

পরে রাতের দিকে খবর দিলে ঐশির তার বাবা-মা রামপুরা হাজীপাড়ার বাসা থেকে বনশ্রীর ওই বাসায় গিয়ে ঐশিকে ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে নামিয়ে প্রথমে ফরাজি হাসপাতাল, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

এনামুল হক জানান, গোলাম রব্বানীর দাবি করেছে ঐশী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনাটি নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। কারণ গোলাম রব্বানীর অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। সেই বিষয় নিয়ে ঐশির সঙ্গে তার কলহ চলছিল। এটি হত্যা না আত্মহত্যা পুলিশের তদন্তের পরেই তারা নিশ্চিত হবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে ভাটারা এলাকার একটি বাসায় গৃহবধূ শারমিন ফাঁস দিয়েছে বলে দাবি তার স্বামী কবির হোসেনের। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার উত্তর পাইং ডং গ্রামের আহমেদ সাফার মেয়ে শারমিন।  
শারমিন আক্তারের স্বামী কবির হোসেন দাবি  জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই একটি প্রতিষ্ঠানে ক্লিনারের কাজ করেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। শাহিন আলম নামে ৭ বছরের এক ছেলে ক্যান্সার আক্রান্ত। দেড় বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছে। তবে আর্থিক অভাব অনটনের কারণে তার চিকিৎসা করাতে কষ্ট হচ্ছিল তাদের। এসব বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বুধবার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাতে খাবার খেয়ে তারা দুজনে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে কবির ঘুম থেকে উঠে দেখেন, শারমিন রুমে নেই। আর কবির হোসেনকে রুমের ভেতর রেখে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করা। তখন তিনি প্রতিবেশী এক ভাড়াটিয়াকে ফোন করে বাসায় ডেকে দরজা খুলে দিতে বলেন। এরপর তিনি বাইরে গিয়ে দেখেন রান্নাঘরে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে শারমিন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা দুটি বিস্তারিত জানার জন্য থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।