ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বনভূমি থাকা প্রয়োজন ২৫ ভাগ, আছে ১৫.৫৮: বনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
বনভূমি থাকা প্রয়োজন ২৫ ভাগ, আছে ১৫.৫৮: বনমন্ত্রী

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় যেকোনো দেশে শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশে আছে মাত্র ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ।

এ তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

রোববার (৪ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য এম. আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বিশেষজ্ঞগণের মতে সুস্থ, সুন্দর ও বাসযোগ্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য যেকোনো দেশের আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে দেশে মোট বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর; যা দেশের আয়তনের শতকরা ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ।

বাংলাদেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের আয়তনের শতকরা ২২ দশমিক ৩৭ ভাগ। বনভূমি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার তথা বন অধিদপ্তর গত ১৪ বছরেও নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোও জাতীয় সংসদে জানান তিনি। এগুলো হলো- ২০০৯—২০১০ হতে ২০২১—২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প এবং রাজস্ব বাজেটের আওতায় ম্যানগ্রোভসহ সর্বমোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৩ হেক্টর ব্লক; ২৮ হাজার ৫১৮ সিডলিং কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান এবং বিক্রয় বিতরণের জন্য উত্তোলিত ১০৮৬ লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়।

বন অধিদপ্তর প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ে ঢাকায় মাসব্যাপী এবং সারা দেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করে। এসবের পাশাপাশি জনগণের মাঝে পরিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বন অধিদপ্তর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী বনভূমিকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণাপূর্বক মোট রক্ষিত এলাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করছে। বন অধিদপ্তর সারাদেশের সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে সড়ক, রেল, বাঁধের পাশে ও প্রান্তিক ভূমিতে ব্যাপক বনায়নের মাধ্যমে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি করছে।

দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল হতে গাছ কাটা ২০৩০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। জাতীয় বননীতি, ১৯৯৪ অনুযায়ী সরকার প্রধানের অনুমোদন ব্যতীত সংরক্ষিত বন বনায়ন বহির্ভূত কাজে ব্যবহার করা যাবে না মর্মে উল্লেখ রয়েছে। বন অধিদপ্তর রক্ষিত এলাকায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সহ—ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বনভূমির ব্যবস্থাপনা ও বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

জাতীয় সংসদে অধিবেশন পরিচালনা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।