ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ডাক কর্মচারীদের ৯ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ডাক কর্মচারীদের ৯ দাবি

ঢাকা: ডাক বিভাগের ৮ হাজার শাখা ডাকঘরে কর্মরত ২৩ হাজার অতিরিক্ত বিভাগীয় কর্মচারীদের মাসিক বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও চাকরি জাতীয়করণসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন।

শনিবার (১০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের নেতারা এসব দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে সংঠনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম নিজাম বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের ডাকা ব্যবস্থা সচল রাখতে আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ৩৫ টাকা সম্মানি ভাতায় কাজ শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় পায়ে হেঁটে, সাইকেলে কিংবা নৌকায় চড়ে গ্রাম থেকে গ্রামে ডাক দ্রব্যাদি বিলি করেছি। আমাদের যৌবনের দিনগুলো আমরা পথে-ঘাটে পার করেছি। আজ আমরা অসহায় ও হতদরিদ্র কর্মচারীরা অনেকে জটিল রোগে আক্রান্ত। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে ছেলে-মেয়েদের পর্যাপ্ত লেখাপড়া ও বিয়ে করানো সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের মাসিক ভাতা সর্বসাকুল্যে ৪ হাজার ৪৬০ টাকা। সরকারি অফিসে কাজ করেও আমরা কোনো প্রকার ঈদ বোনাস, উৎসব ভাতা ও নববর্ষ ভাতা পাই না। আমরাও বর্তমান সরকারের উন্নয়নশীল দেশের একজন স্মার্ট কর্মচারী হতে চাই।

চলমান বাজেটে নূন্যতম ভাতা ১৫ হাজার টাকা করাসহ ৯ দফা দাবি জানায় বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন। দাবিগুলো হলো- 

১) বর্তমান বাজরদর বিবেচনায় ৪ হাজার ৪৬০ টাকা থেকে নূন্যতম ১৫ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধি করা।

২) ২৩ হাজার অতিরিক্ত বিভাগীয় কর্মচারীদের জাতীয়করণ করা।

৩) ইডি কল্যাণ তহবিলে জমাকৃত অর্থ কর্মচারীদের মাঝে বরাদ্দের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রতি ছয় মাস অন্তর নির্দিষ্ট কমিটির সভার মাধ্যমে কর্মচারীদের আবেদন বিবেচনা করে মঞ্জুরি প্রদান।

৪) ভারতের মতো বাংলাদেশ শাখা ডাকঘর কর্মচারী (আচরণ ও নিয়োগ) বিধিমালা প্রণয়ন করা।

৫) সরকারি কর্মচারীদের মতো সব ধরনের ছুটি ভোগের সুযোগ সৃষ্টি করা।

৬) বয়স্ক ও পেনশনযোগ্য কর্মচারীদের এককালীন গ্রাচ্যুয়িটির ব্যবস্থা করা।

৭) বিভাগীয় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মতো ছাতা, জুতা ও পোশাক বরাদ্দ করা।

৮) সরকারি কর্মচারীদের মতো সব ধরনের উৎসব ভাতা দেওয়া।

৯) সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি স্মার্ট ডাকসেবাদানে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও বাস্তব প্রশিক্ষণ দেওয়া।

বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ শাখা ডাকঘর কর্মচারী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম ফারুকের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনের আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শাখা ডাকঘর কর্মচারী সমিতির বিশেষ উপদেষ্টা মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, উপদেষ্টা মূসা আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।