বরিশাল: বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নদীর মকবুলের টেক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিখোঁজ যুবকের মো. রাকিব খান (২০)। তিনি বাল্কহেডের কর্মচারী ছিলেন। রাকিব বরগুনার তালতলী উপজেলার মোরানিদ্রা এলাকার বিল্লাল খানের ছেলে।
এতে লঞ্চের তলা ফেটে ভেতরে পানি প্রবেশ করতে থাকলে, সেটিকে কীর্তনখোলা নদীর সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামছড়ি এলাকার চরে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেরানী মো. তুহিন বলেন, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। লঞ্চটি নদীর মকবুলের টেক এলাকার মোড় অতিক্রমকালে সামনে একটি বালুবাহী বাল্কহেড পড়ে। রং সাইডে থাকা বাল্কহেড তখন আড়াআড়ি ঘুরিয়ে দেয়। এতে লঞ্চের চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে বাল্কহেডে ধাক্কায় দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
তিনি বলেন, বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কায় লঞ্চের পানির লেভেল থেকে একটু ওপরের অংশ ফেটে গিয়ে পানি প্রবেশ করে। তখন লঞ্চটি একটি চরে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তুহিন আরও বলেন, লঞ্চের যাত্রীদের বেশিরভাগ এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ এ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকী অর্ধশতাধিক যাত্রীদের ঢাকাগামী এমভি ফারহান লঞ্চে উঠিয়ে দেওয়া হয়।
বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, সিলেট থেকে বালু নিয়ে বাল্কহেডটি বরগুনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে গেছে। যারা সাঁতরে তীরে উঠেছে তারা জানিয়েছেন রাকিব খান নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। রাকিব বাল্কহেডের কর্মচারী, তিনি বরগুনার তালতলী উপজেলার মোরানিদ্রা এলাকার বিল্লাল খানের ছেলে।
ওসি আরও জানান, নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাতে তারা অভিযান করবে না। সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করবে।
পারাবত-১১ লঞ্চের যাত্রী পুলক ও রাকিব জানান, বরিশাল নদী বন্দর থেকে ৯টার দিকে ছেড়ে আসার পরে লামছড়ি এলাকায় একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এ সময় তিনজন নদী সাঁতরে ওপরে উঠতে দেখেছি।
** কীর্তনখোলায় লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
এমএস/এসআরএস