ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মদ হাতে, পাশে দুই নারী, উন্মত্ত আ.লীগ নেতার ভিডিও ভাইরাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
মদ হাতে, পাশে দুই নারী, উন্মত্ত আ.লীগ নেতার ভিডিও ভাইরাল নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ বেপারী

পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ বেপারীর (৪৬) আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  

যেখানে দেখা গেছে, মদ হাতে এ আ.লীগ নেতা।

 পাশে দুই নারী।  তারা সবাই বিবস্ত্র।  ভিডিও ও ছবি ভাইরালের পর জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।  

আশুতোষ বেপারী উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মৃত জগদ্বীশ বেপারীর ছেলে।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই আওয়ামী লীগ নেতা একটি কক্ষে মদ পান করছেন। সেখানে থাকা এক নারীকে নিজ হাতে মদ খাইয়ে দিচ্ছেন তিনি। তারা দুজনেই বস্ত্রহীন অবস্থায়। পরে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে দেখা যায় তাকে। এছাড়া অন্য একটি ছবিতে একই কক্ষে অন্য এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় তাকে।  

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আশুতোষ বেপারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন।

অভিযোগ রয়েছে, গত দুই বছর আগে জেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার দৈহাড়ি গ্রামের এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারী। পরে ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করলে তাদের কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এসব বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, অবিবাহিত চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারী ইউনিয়ন পরিষদের উপরের একটি কক্ষ ও নিজ বাড়িতে নিয়মিত মদের আসর বসান। সেখানে বিভিন্ন নারীদেরে এনে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। ৭ বছর আগে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করেন আশুতোষ। পরে তাকে বিয়ে না করায় ওই মেয়ে আত্মহত্যা করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান বলেন, আশুতোষ বেপারীর এমন মদ ও নারী কেলেঙ্কারি কাম্য নয়।  তিনি আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। বিষয়টি নিয়ে দারুণ লজ্জা বোধ করছি।  

মোশারেফ হোসেন খান আরও বলেন, আশুতোষ ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে বসে মদ ও নারী ফেলি ঘটনা ঘটাতেন। এ নিয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। আমি  ও ওই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সুনীল হালদার ওই বাড়িতে গিয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলি। তখন তিনি এসব বাদ দিয়ে ২-৩ মাসের মধ্যে বিয়ে করবেন বলে অঙ্গীকার করেছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পরিচয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণকান্ত মজুমদার বলেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতার এমন ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় নিজেকে লজ্জিত মনে হচ্ছে। এমন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।