সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বরখাস্ত হওয়া ওসির বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনরত নারী উদ্যোক্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যার দিকে নওগাঁ ইউনিয়নের বানিয়াবহু গ্রামের মৃত মান্নান চৌধুরীর ছেলে পুলিশ পরিদর্শক (সাময়িক বরখাস্ত) সেলিম রেজা চৌধুরীর পরিবারের লোকজন তাকে পেটায় করে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তাড়াশ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এরআগে বুধবার সকাল থেকে তিনি বিয়ের দাবিতে ওসি সেলিম রেজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনশন শুরু করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ওসি হয় তাকে বিয়ে করুক, না হয় মেরে ফেলুক’। ভুক্তভোগী নারী উদ্যোক্তা নাচোল থানার খোলসী গ্রামের মেয়ে।
অভিযোগের বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় আমরা ওই নারীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তাকে মারধর করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী বলেন, ২০২০ সালে নাচোল থানার ওসি থাকার সময় সেলিম রেজার সঙ্গে আমার
পরিচয়ের সূত্র ধরে সম্পর্ক পরে প্রেমের দিকে গড়ায়। সেলিম রেজা আমাকে নাচোল শহরের নাখেরাজপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিভিন্ন সময় আমাকে হোটেলে নিয়েও শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। পরবর্তীতে সেলিম বদলি হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিশেষ শাখা ও ভোলাহাট থানায় যান। ওই সময় পর্যন্ত আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।
তিনি জানান, সম্পর্কের শুরুতে সেলিম রেজা নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন জানিয়ে আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। কিন্তু পরে জানতে পারি স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি তিনি। বিষয়টি স্ত্রী জানার পর ওসি সেলিম আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ের দাবিতে ভোলাহাট থানায় যাই। এসময় আমাকে মারধর করে ও পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করায় সেলিম। এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি ভোলাহাট থানায় গেলে ওসি নিজে, কনস্টেবল দিয়ে আমাকে বেধড়ক পেটান। তারপরও বিয়ের দাবিতে অনশন করলে আমাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠান। সাত দিন কারাভোগের পর মুক্ত হয়ে থানায় জব্দ করা আমার ফোন ফেরত নিয়ে দেখি আমাদের কথোপকথনের অডিও ও ভিডিও সবকিছু ডিলিট করা হয়েছে।
‘হয় ওসি আমাকে বিয়ে করবে, না হয় মেরে ফেলবে’
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
এসএএইচ