ফেনী: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের একটি মারামারির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর ঘটনায় করা মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেফতারদের নাম- শুভ, ইফাত ও প্রিয়। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
শনিবার (২৪ জুন) সকালে শহরের পুলিশ কোয়ার্টার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ এজহার নামীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
গ্রেপ্তার তিনজনসহ মামলার আসামিরা হলো- শহরের ডাক্তার পাড়ার ওয়াসিম (১৬), আব্দুর রহমান (১৪), রাসেল (১৫), সিয়াম (১৫), আছিম (১৫), ইসফার (১৫), জয় (১৫), প্রিয়ম (১৫), ইফাত (১৫), পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার আল কেমী হাসপাতালের পেছনের এলাকার নোমান (১৪), শুভ (১৫)।
আসামিরা শহরের ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা, শাহীন একাডেমি স্কুল, হলি ক্রিসেন্ট স্কুল, সেন্ট্রাল হাইস্কুল ও ফেনী মডেল হাইস্কুলের শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ফেসবুকে হায়দার ক্লিনিকের পাশে খালি জায়গায় কিশোর গ্যাং ‘এফসিবি’ মারামারির একটি দৃশ্য ভাইরাল হয়। ভিডিও ফুটেজে ফেনী মডেল হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আমিরুল হুদা মুবিন (১৪) কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত ও পা ধরে ক্ষমা চাওয়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। রাতে নির্যাতনের শিকার কিশোরের মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।
নির্যাতিত কিশোর আমিরুল হুদা মুবিন ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর মন্দিয়া গ্রামের হাজী সুলতান আহাম্মদ মেম্বার বাড়ির সামসুল হুদার ছেলে। বর্তমানে ফেনীর পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার বউবাজারে ভাড়া বাসায় থাকে সে।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, কিশোর অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স। এদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। যেসব ঘটনায় মামলা হয় সে মামলায় এজহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আন্তরিক হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
এসএইচডি/এসএএইচ