ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছয় মাস না যেতে শ্যামনগরে সংস্কার করা বাঁধে ধস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
ছয় মাস না যেতে শ্যামনগরে সংস্কার করা বাঁধে ধস

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালীতে সদ্য সংস্কার করা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের একাংশ ধসে পড়েছে।  

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে ফাটল দেখা দেওয়ার পর মহসীন সাহেবের হুলো নামীয় অংশের ১৮-২০ ফুটের বেশি জায়গা শুক্রবার (২৩ জুন) নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

মাত্র পাঁচ মাস আগে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামতকৃত অংশের বাঁধ পুনরায় ধসে যাওয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ধসে যাওয়া অংশের মাটিসহ উপরিভাগের জিও ব্যাগ নদীতে বিলীন হওয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ ভাঙনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল ঠিকাদারের পরিবর্তে শ্রমিক সর্দার দিয়ে কাজ সম্পাদনের কারণে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সেখানে দ্বিতীয়বার ধসের ঘটনা ঘটেছে। ধসে যাওয়া অংশের বাঁধ দ্রুততম সময়ে মেরামত করতে না পারলে ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, কাজ হস্তান্তরের পর তার কোনো দায় নেই বলে ঠিকাদার দাবি করলেও পাউবো কর্তৃপক্ষ ধসের বিস্তৃতি ঠেকাতে জিও শিট বিছিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।  

দাতিনাখালী এলাকার আবু মুছা জানান, পাঁচ-ছয় মাস আগে একই অংশের বাঁধে ধসের সৃষ্টি হলে মাটির কাজ করার পর জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামতের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে আবারও ধস দেখা দিয়েছে। মূল ঠিকাদারের পরিবর্তে শ্রমিক সর্দার দিয়ে কাজ করানোর ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে একই অংশে দ্বিতীয়বার ধসের সৃষ্টি হয়েছে।

বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, সিত্রাংয়ের পর থেকে মহসীন সাহেবের হুলো এলাকায় ফাটল দেখা দেয়। পরবর্তীতে বার বার বলা হলেও ঠিকাদার বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তরফে তদারকি না থাকায় শুক্রবার হঠাৎ বাঁধের বাইরের কিছু অংশ নদীতে ধসে যায়।

বাঁধে ধস নামার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশের কাজ সম্পন্ন করা সহ-ঠিকাদার ও শ্রমিক সর্দার আইয়ুব হোসেন জানান, কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পর তার কোনো দায় নেই। বাঁধের কোনো নিশ্চয়তা নেই- উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, একদিন কাজ করে পরের দিনও তা নদীতে বিলীন হলে ঠিকাদারের কি করার থাকে। এসময় কাজের গুণগতমান রক্ষা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুটোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সংশ্লিষ্ট অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেকশন অফিসার জাকারিয়া ও সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন মুঠোফোন রিসিভ করেননি।

তবে অপর সেকশন অফিসার মাসুদ রানা জানান, ধসে যাওয়া অংশের ভেতর দিয়ে পৃথক বাঁধ থাকায় ভয়ের কিছু নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া অংশে জিও শিট বিছিয়ে ধসের ব্যাপকতা ঠেকানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।