নেত্রকোনা: শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি মহাসড়কে চলমান দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করে পূর্বধলা উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিক সমাজ।
রোববার (২৫ জুন) দুপুরে সড়ক অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন, প্রতীকী মরদেহ হয়ে রাস্তায় শুয়ে ও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এর আগে গত ১৫ জুন বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সিএনজিযোগে বাড়ি ফেরার সময় বালুবাহী ট্রাকের চাপায় নিহত হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফরিদুজ্জামান রিফাত।
এ মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- পুরো মহাসড়কে রোড ডিভাইডার স্থাপন করা, ওভারলোডিং স্কেল চালু করা, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো বন্ধ করা, শ্যামগঞ্জ-বিরিশির মহাসড়কে থ্রি হুইলার নিষিদ্ধকরণ বাস্তবায়ন করা, নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর পুলিশ বক্স স্থাপন করা এবং সার্বক্ষণিক তদারকি করা, সকাল ৮ ঘটিকা থেকে রাত ৮ ঘটিকা পর্যন্ত বালুবাহী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধকরণ, ভেজা বালু বাহি ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধকরণ ও বাস্তবায়ন করা, বালু বাহি ট্রাক চলাচলের সময় তা ঢেকে পরিবহণ নিশ্চিত করা ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের অবস্থান অনড় থাকায় নেত্রকোনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ শিবলী সাদিক, পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ প্রিন্স ও পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সকল দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন। আশ্বাস প্রদানের ফলে আন্দোলনকারীরা রাস্তা থেকে সরে যায়। বর্তমানে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন- পূর্বধলা সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবু হানিফ তালুকদার রাসেল, সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম আঙ্গুর, পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ খান।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- নিহত রিফাতের ভাই আরিফুজ্জামান আরিফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বদরুল আলম ঝুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোনতাসির মাসুদ খান ফাহিম, স্বপন চন্দ্র সরকার, পূর্বধলা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় খান নাঈম, সাধারণ সম্পাদক ইশরাক আহমেদ তাইফসহ সচেতন নাগরিক সাধারণ ও শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এসএম