গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাতাইশ এলাকায় এক শ্রমিক নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) রাতে গাজীপুর সাতাইশ এলাকার প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী এলাকার আজগর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৮)। আহতরা হলেন, তার সহকর্মী মো. মোস্তফা কামাল (২৫) ও আহমেদ শরীফ (৩৫)।
বাংলাদেশ মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশনের কেন্দ্র কমিটির আইন ও সিবিএ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান জানান, শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। সাতাইশ এলাকায় প্রিন্স জেকার্স সোয়েটার লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকদের চলতি মাসসহ দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এছাড়া ঈদের বোনাসও দেওয়া হয়নি। এনিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ চলছিল।
খবর পেয়ে শ্রমিক পক্ষ থেকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাট্রায়াল ওয়ার্কাস ফেডারেশনের গাজীপুর শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম মালিক পক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। রোববার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষা করিয়ে বেতন বোনাস তারা দেয়নি। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দেন যে আগামীকাল শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কলকারখানার ডিআইজি স্যারের কাছে যাবেন।
শ্রমিকদের সান্তনা দিয়ে রাতে শহিদুল ইসলামসহ ওই তিন শ্রমিক নেতা কারখানা থেকে বের হয়ে প্রধান ফটকের সামনে যাওয়ার পর ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসীদল তাদের ওপর অতর্কিতে উপর্যুপরি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এসময়ে তারা তিনজনই গুরুতর আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় তায়রুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শহিদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, তাকে হামলা ও মারধর করে হত্যা করা হয়েছে, নাকি স্ট্রোক করে মারা গেছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। শহিদুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ জুন ২৬, ২০২৩
আরএস/এসএম