ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রীর তুলনায় গাড়ি কম, ভোগান্তিতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ

জি এম মুজিবুর, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
যাত্রীর তুলনায় গাড়ি কম, ভোগান্তিতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রত্যেক স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। সে কারণে যানবাহনেরও চাপ বেড়েছে সড়কে।

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কেও এমন চিত্র দেখা গেছে। এ রুট দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের যাতায়াত। তবে যে পরিমাণ যাত্রী বেড়েছে সেই তুলনায় গাড়ি নেই।

খুলনা-বরিশাল-ফরিদপুর-গোপালগঞ্জের যাত্রীরা যানবাহন সংকটে পড়েছেন বিপাকে।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সরেজমিনে যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায় হাজারও যাত্রী বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। কখন মিলবে বাসের টিকিট সেই অপেক্ষায়। যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও ছোট বাচ্চা।

কথা হয় খুলনার যাত্রী মো. মনিরুল ইসলামের সঙ্গে, তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে এসে দাঁড়িয়ে আছি যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে। কোনো গাড়িতে সিট পাচ্ছিনা। অগ্রিম টিকিটও কাটতে পারি নাই। এদিকে বৃষ্টিও হচ্ছে। এখন কীভাবে বাড়িতে যাব বুঝতে পারছি না।

অন্যদিকে মিরপুর, ফার্মগেট, বাড্ডা, গুলশান, বিশ্বরোড় এলাকার যাত্রীদের সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ীতে আসতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে। রাস্তায় গরুর হাট বসায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।  এ যানজটের কারণেই এত সময় লাগছে।

সায়দাবাদ-বরিশাল রুটের হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার কুরবান আলী বুলু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এ রোডে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করি নাই। রাস্তায় গরুর হাট বসানোর কারণে যানজট অনেক বেশি। কখন গাড়ি আসবে-যাবে তার ঠিক নেই। এজন্য গাড়ি হাতে পাওয়ার পরে আমরা টিকিট বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রি না করায় কাউন্টারের সামনে এবং সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী এলাকাতে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের বেশ চাপ দেখা যাচ্ছে। তবে আশা করি রাতের মধ্যেই এ চাপ কমে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।