ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদের শেষ বাজারে চিনি-কাঁচামরিচ-পেয়াজের আগুন দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
ঈদের শেষ বাজারে চিনি-কাঁচামরিচ-পেয়াজের আগুন দাম ফাইল ছবি

ঢাকা: চিনির কেজি ১৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা আর আমদানি করা ৪০ টাকা। আর কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা কেজি।

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দামে ছাড় দেওয়ার সময় নেই, শেষ সময়ের বাজার করা নিয়ে ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা।

বুধবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

জুন মাসে পণ্য বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে চিনি। ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজির চিনি হঠাৎ করেই মিল মালিকরা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করেছেন। নিয়ম বহির্ভুত দাম বাড়ালেও নিরবে সহ্য করেছেন ক্রেতারা। ভোক্তা ও ভোক্তা সমিতি থেকেও আপত্তি তোলা হয়, কিন্তু ধোপে টেকেনি। বাজারে কার্যকর হয় বাড়তি দাম।

ঈদের আগে চিনির বাজারে কেউ আর কথা তোলেননি। আর এ নিয়ে কথা তুলেও কোনো লাভ নেই। এমনটাই জানালেন মিরপুরের তালতলার আলমাছ আলী। তিনি চিনি কিনছিলেন। এ সময় বলেন, হঠাৎ করে চিনির দাম বেড়ে গেলো। আর কোনো কিছুর দাম বাড়ানোর ঘোষণা মানেইতো সেটা কার্যকর। তাই মেনেই নিয়েছি।

বাজারে এখনও দেশি পেঁয়াজই বেশি বিক্রি হচ্ছে। দাম বাজার ভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আমদানি করা পেয়াজের কেজি ৪০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা পেয়াজ দেখতে ভালো না, স্বাদেও দেশি পেয়াজের মতো না। এ কারণে দাম কম হলেও আমদানি করা পেয়াজ নিচ্ছি না। বাড়তি দামের দেশি পেয়াজ কিনছি।

গত কয়েকদিন ধরে কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও খবর আসছে, সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাচামরিচের। এর আগে কখনও এতো দাম ওঠেনি।

বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে ভাষানটেকের বাজারে বাজার করতে আসা আমজাদ আলী সবজি দোকানদারের কাছে দাম জানতে চান, 'মরিচতো আমদানি হয়েছে। দাম কমার কথা, কমেছে ?’ উত্তরে দোকানদার বলেন, ঈদের আগের আর কম দামের আশা কইরেন না স্যার। দাম এখনও ৪০০ ট্যাকা। আর কথা বলেননি আমজাদ আলী। কাল ঈদ, কিনতেই হবে, না কিনে উপায় নেই, বিড় বিড় করে কথা বলতে বলতে একশ গ্রাম কাঁচা মরিচের কেনেন তিনি।

বাজারে আমদানি করা রসুন ১৮০ থেকে বাজার ও ধরণ ভেদে ১৯০ টাকা। দেশি রসুন ১২০ থেকে ধরণ ভেদে ১৪০ টাকা। আদা ৩৩০ থেকে ৩৮০ টাকা।

আগের বৃদ্ধি পাওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস, প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। দুয়েকটি বাজারে ৮২০ টাকা কেজিও চলছে। মাংসের দাম বৃদ্ধির যুক্তি দেখানো হয়, কোরবানীর বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে।

খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি। মুরগির দাম গতকালের চেয়ে একটু বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থকে বাজার ভেদে ২০০ টাকা, সোনালী ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগির কেজি ৬০০ টাকা।

মাছের বাজারে ক্রেতা দেখা যায়নি। মাছও কম। এক কেজি ওজেনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা।

এছাড়া ২০০ গ্রামের লাচ্চা সেমাই ৫০ টাকা। একই ওজনের লম্বা সেমাইয়ের দাম ৪০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
এমআরপি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।