বরিশাল: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি সাগর নন্দিনী-২ ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। জাহাজটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে জ্বালানি তেল।
শনিবার (০৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় ঝালকাঠি সদর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের ঝালকাঠি ও বরিশালের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দক্ষতার কারণে জাহাজের পেছনের অংশে যেখানে আগুন লাগে, সেখানেই তা সীমাবদ্ধ ছিলে। নয়তো সেই অংশ থেকে আগুন জাহাজের ট্যাংকিতে ছড়িয়ে পড়লে আরও বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারতো। কারণ জাহাজটির ভেতরের ট্যাংকিতে ৭ লাখ লিটার পেট্রোল ও ৪ লাখ লিটার ডিজেল ছিল।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ মুহূর্তে জাহাজটি থেকে তেল অন্য জাহাজে অপসারণ করা হচ্ছে। জাহাজটির পেছনের অংশ ধীরে ধীরে পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
জাহাজের বাবুর্চি বেলায়েত জানান, তারা ৪-৫ দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে ঝালকাঠিতে আসেন। শনিবার বিকেলে পদ্মা ডিপোতে তেল খালাস করার কথা ছিল। দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে জাহাজের পেছনের অংশ উড়ে গিয়ে নদীতে পড়ে। ঘটনার পর ৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও ৪ জনের সন্ধান মেলেনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজটি উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। এছাড়া তাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে।
জাহাজটি আকস্মিকভাবে ডুবে গেলে নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কার জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
তবে স্থানীয় রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা বলেন, নদীর যে অংশে জাহাজটি রয়েছে, সেখানে পানির যে গভরীতা তাতে পুরোপুরি নিমজ্জিত হওয়ার সুযোগ নেই। সেখানে গভীরতা জাহাজটির উচ্চতার থেকেও কম।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৩
এমএস/এমজেএফ