জামালপুর: সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের তিন সপ্তাহ পার হলো। অথচ এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে এই হত্যাকাণ্ডের বেশ কয়েকজন আসামি।
তারা এখন কোথায়-কীভাবে রয়েছেন, তাও জানে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সব আসামিকে গ্রেপ্তার ও তাদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ীর সাংবাদিকেরা।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে সরিষাবাড়ী পৌরসভার সামনের প্রধান সড়কে ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে পৃথক মানববন্ধনে এ দাবি জানান উপজেলায় কর্মরত সব সাংবাদিক।
মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের সব আসামির গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন। এ ছাড়া নিহত নাদিমের পরিবারের সার্বিক দায়িত্ব নেওয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম কিসমত অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি সোলায়মান হোসেন হরেকের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন- সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ রউফ, সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসাইন লেবু, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া জাহাঙ্গীর, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম নিরব, বাংলাটিভির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, দৈনিক জনবাণীর স্টাফ রিপোর্টার মাসুদুর রহমান, সরিষাবাড়ী রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাবু, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম, আদ্রা মাদরাসার প্রভাষক আব্দুল জলিল প্রমুখ।
পরে উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে আরেকটি মানববন্ধনে সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাংবাদিক ও কবি জাকারিয়া জাহাঙ্গীর হোসেন, মমিনুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার বিচার দ্রুত করার দাবি জানিয়ে সারাদেশে সাংবাদিক হত্যা, নিপীড়ন বন্ধ ও সাংবাদিক সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা।
সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে গত ১৪ জুন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এই ঘটনায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
বাবু চেয়ারম্যানসহ ১৪ আসামি কারাগারে রয়েছেন। ১৪ জনের মধ্যে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও রেজাউল হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ৫ জুলাই, ২০২৩
এসএফ/আরএইচ