ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

ঢাকা: মধ্যপ্রাচ্যে ইতিবাচক ফলাফল বহনকারী চীনা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সাম্প্রতিক সাফল্যের প্রশংসা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (৫ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ প্রশংসা করেন।

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বৈশ্বিকভাবে দক্ষিণের বৃহত্তর সম্মিলিত সুবিধার জন্য ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’ আরও বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।  

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক বাংলাদেশে প্রবর্তিত কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উদ্ভাবনী পদ্ধতির উল্লেখ করেন, যা এখন আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত।  

তিনি লক্ষ্য করেছেন, যে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য প্রচুর ব্যবহারিক, সহজ এবং কার্যকর চীনা উদ্ভাবন প্রয়োগ করতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন কোভিড-১৯ মহামারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখ করেন এবং এ বিষয়ে চীনের উল্লেখযোগ্য সহায়তার প্রশংসা করেন।  

এই প্রসঙ্গে তিনি মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং সাধারণ মানুষের জীবন, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের যারা অনাকাঙ্ক্ষিত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অন্যান্য অর্থনৈতিক দুর্দশার কথাও তুলে ধরেন।  

সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে অবিলম্বে যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ড. মোমেন মধ্যপ্রাচ্যে ইতিবাচক ফলাফল বহনকারী চীনা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সাম্প্রতিক সাফল্যের প্রশংসা করেন।  

তিনি আশা করেন, চীন আমাদেরসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আরো অনেক সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করেন, যা চীনের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীনকে ধন্যবাদ জানান।  

তিনি আশা প্রকাশ করেন, চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে।  

তিনি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি ও দক্ষতা হস্তান্তরের সুবিধার্থে বাংলাদেশে বৃহত্তর চীনা বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন।  

বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, বিরাজমান বর্ষার সমস্যা এবং দেশের সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতির ওপর এর প্রভাব, বিশেষ করে আকস্মিক বন্যার ঘটনাও উঠে আসে।

চীনের রাষ্ট্রদূত বন্যা পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশের নদীগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ড্রেজিংয়ের জন্য সহায়তা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে ত্রিপক্ষীয় কাঠামোর অধীনে চীনের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি ও প্রশংসা করেন। তারা বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে চলমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাও পর্যালোচনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৩
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।