টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের চিতুলীয়া পাড়াসহ ২০টি গ্রামে দেখা দিয়েছে যমুনার তীব্র ভাঙন। ভাঙনে নদী গিলে খাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের চিতুলিয়াপাড়ায় এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
এতে শত শত মানুষ অংশ নেন। অবরোধের কারণে উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হসেন। তিনি তাৎক্ষণিক ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার ঘোষণা দেন। পরে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব আনোয়ার হোসেন বলেন, গত প্রায় একমাস থেকে এই এলাকায় ধরলার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে আমার বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। আমি পরিবার নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
মমিন নামের অপর একজন বলেন, নদীর ভাঙনের কারণে এ পর্যন্ত আমি কয়েকবার আমার বসতভিটা হারিয়েছি। এবারের ভাঙনেও আমার বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন আর আমার বসতি গড়ে তোলার কোনো জমি-জমা নাই। পরিবার নিয়ে কোথায় যাব, ভেবে পাচ্ছি না।
চিতুলীয়া পাড়ার গ্রামের দারা মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য এসে বলে গেলেন ‘অতিদ্রুত বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে’ -অথচ গত এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেল। ভাঙন বন্ধ করতে কোনো কাজ শুরু তো দূরের কথা, কেউ খোঁজ-খবর নিতেও আসেনি।
এ বিষয় ইউএনও মো. বেলাল হোসেন বলেন, ভাঙন ঠেকাতে যে এলাকায় জিওব্যাগ ফেলার দাবিতে লোকজন আন্দোলন করছিল, সে এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ঘর করে দেওয়া হবে। এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতাও করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৩
এসআরএস