ঢাকা, বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অজ্ঞান করে অগুনতি বাড়িতে লুটপাট, আটক ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
অজ্ঞান করে অগুনতি বাড়িতে লুটপাট, আটক ৩

পটুয়াখালী: রান্না করা খাবারে মাত্রাতিরিক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে বাড়ির সব কিছু লুট করে নেয় একটি চক্র। পটুয়াখালীর দুমকি থানা পুলিশ বলছে, এ চক্রের বরিশাল আঞ্চলিক হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুমকি থানার একটি মামলার সূত্রে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরগুনা জেলার আমতলি উপজেলার গেড়াবুনিয়া ইউনিয়নের দেলোয়ার মৃধার ছেলে মাহতাব হোসেন, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বেয়ালিয়া এলাকার হাবিব মৃধার ছেলে রাশেদুল মৃধা এবং লুটে নেওয়া স্বর্ণালংকারের ক্রেতা সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের রতন কুমার কর্মকার।

পুলিশ সুপার মোহম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাহতাব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে লুণ্ঠিত সোনার গহনা ও কাপড়-চোপড় এ চক্রের মূল হোতা রাশেদুল মৃধার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তার বাড়িতে খেলনা পিস্তল, তালা ভাঙার বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন ধরনের চেতনানাশক ওষুধ-কেমিকেল পাওয়া গেছে।  

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন যে প্রথমে চক্রের সদস্যরা কোন বাড়িতে লুট করবে, সেটা ঠিক করে। এরপর ওই বাড়ি লক্ষ্য করে পরিকল্পনা নিয়ে, তাদের রান্না করা খাবারে মাত্রাতিরিক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য বা চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেই খাবার খেয়ে ওই বাড়ির লোকজন অচেতন হয়ে পড়লে সর্বস্ব লুট করে নেওয়া হয়। চক্রটি এতো বাড়িতে লুট ও চুরি করেছে যে সেই হিসাবও তাদের কাছে নেই।  

তিনি জানান, এ চক্রটি বরিশাল বিভাগের সব জেলায় লুট করেছে। এছাড়া বিভাগের বাইরের দুর্বৃত্তরাও তাদের সঙ্গে জড়িত। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা তিনজনসহ এ চক্রের পাঁচজনের নাম জানা গেছে। চক্রের বাকি সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।