মাগুরা: মাগুরার মহম্মদপুরে রুবাইয়া নামের ৯ বছর বয়সী ননদকে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছেন সৎ ভাবি সীমা বেগম (২৪)। শিশুটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে এ কাণ্ড ঘটান সীমা বেগম।
একইদিন রাতে এ বিষয়ে রুবাইয়ার বাবা সিদ্দিক শেখ বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ে করেন। পরে পুলিশ সীমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহম্মদপুর থানার ওসি অসীত কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। শিশুটিকে কেন নির্যাতন করা হয়েছে, তার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাবি সীমা বেগম ননদ রুবাইয়াকে বাসায় প্রায়ই নির্যাতন করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সীমা তার পাঁচ মাসের ছেলে রাফিনকে রুবাইয়ার কাছে রাখতে দেয়। বাচ্চাটি খেলার করার সময় কেঁদে দেয়। কান্নার শব্দ শুনে রেগে যায় তার মা সীমা। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে এসে রুবাইয়াকে জোরপূর্বক রান্না ঘরে নিয়ে জলন্ত চুলায় খুন্তি পুড়িয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দিয়ে গুরুতর আহত করে। শিশুটি সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে কান্না করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে বাধা দিলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সীমা। পরে রুবাইয়াকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
এসএএইচ