ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বৃক্ষ নিধন বন্ধে ১২ দফা দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
বৃক্ষ নিধন বন্ধে ১২ দফা দাবি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বৃক্ষ নিধন বন্ধে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

শনিবার (৮ জুলাই) ‘বৃক্ষ নিধন ও তার পরিবেশগত প্রভাব: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন।

উত্থাপিত ১২ দফা দাবি হলো—
১। পরিকল্পনাহীনভাবে সড়কদ্বীপে গাছ কাটা বন্ধ করা।
২। স্থানীয় প্রজাতির বৃক্ষ দ্বারা ইতোমধ্যে কেটে ফেলা গাছ প্রতিস্থাপন করা।
৩। রোপণকৃত গাছের সঠিক সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।
৪। নগরে বনায়ন, গাছ রক্ষা ও কাটার প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট বিধিমালা ও কৌশলপত্র প্রণয়ন করা।
৫। যেকোনো প্রকল্প গ্রহণে আইনগতভাবে অবশ্য করণীয় পরিকল্পনা ও সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন নিশ্চিত করা।
৬। বৃক্ষ নিধন হয় এমন যেকোনো প্রকল্পে অংশীজন-সভার মতো অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ আবশ্যকীয় করা।
৭। বিদ্যমান গাছ ও সবুজকে যথাসম্ভব অক্ষুণ্ন রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
৮। নগর এলাকায় গাছ কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা।
৯। অবকাঠামোগত ও নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রকৃতিভিত্তিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া।
১০। বিদ্যমান আইনে বৃক্ষ নিধন বন্ধে আরও কঠোর শান্তির বিধান আরোপ করা।
১১। উপযুক্ত বৃক্ষশুমারির মাধ্যমে বিদ্যমান বৃক্ষের সংরক্ষণ ও নতুন বৃক্ষ রোপণের কৌশল নির্ধারণ নিশ্চিত করা।
১২। জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল রক্ষায় সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত সরকারি পদক্ষেপের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে ‘বৃক্ষ নিধন ও তার পরিবেশগত প্রভাব: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব।

মূল প্রবন্ধে তিনি সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত বৃক্ষ নিধনের নানা চিত্র তুলে ধরেন। পাশাপাশি বৃক্ষ নিধনের কারণে পরিবেশগত যেসব প্রভাব পড়ছে সেগুলো আলোচনা করেন।

ইকবাল হাবিব বলেন, বৃক্ষ নিধনের ফলে প্রতিনিয়ত আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, কার্বন শোষণ হ্রাস পেয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিট আইল্যান্ড ইফেক্ট পড়ছে, বায়ু দূষণ হচ্ছে।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বৃক্ষ অব্যবস্থাপনার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করে সেগুলো রোধে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দেন। পাশাপাশি বৃক্ষ নিধন বন্ধে ১২ দফা দাবি জানান।

বাপার কোষাধক্ষ্য মহিদুল হক খানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. তাওহীদা রশীদ, গ্রিন সেভার্স-এর প্রধান নির্বাহী আহসান রনি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।